বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশের ৫ রাজ্যের ভাগ্য নির্ধারণ আজ। পশ্চিম ভারতের সৈকত রাজ্য গোয়াতেও বিধানসভা ভোটের ফলাফল আজ। বুথ ফেরত সমীক্ষা বলেছিল ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে গোয়া। বুথ ফেরত সমীক্ষাই ঠিক হবে নাকি ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি বা কংগ্রেস? তার উত্তর পেতে অপেক্ষা আর মাত্র কিছুক্ষণের। তবে অনেকেরই মত, গোয়ার ভাগ্য নির্ধারণ করতে চলেছে তৃণমূল এবং মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির জোটই।
এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, গোয়ায় ২০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এক্ষেত্রে বিজেপিকে টেক্কা দিচ্ছে কংগ্রেসও। ১৫ টি আসনে এগিয়ে তারা। ৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল এবং গোমন্তক পার্টির জোট। তবে তিনটি আসনের কোনও আসনেই এগিয়ে নেই তৃণমূল। প্রথমবার সেখানে লড়াই করে রাজ্য দখলের স্বপ্ন দেখা তৃণমূলের হাতে বর্তমানে শূন্যই হাসিল হয়েছে।
৪০ আসন বিশিষ্ট গোয়া বিধানসভায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে। এই মুহুর্তে দাঁড়িয়ে মনে করা হচ্ছে তৃণমূল জোট যে পক্ষের হাত ধরবে সৈকত রাজ্যে সরকার গঠন করবে তারাই। টানাটানি শুরু হয়েছে নির্দল প্রার্থীদের নিয়েও। তবে বিশ্লেষকদের মত, সরকার গঠনে ক্ষেত্রে তৃণমূলের সাহায্য বিজেপির থেকে অনেক বেশি পাবে কংগ্রেস। শুরু থেকেই গোয়ায় বিজেপি বিরোধীতা করে এসেছে তৃণমূল। সেই কারণে শুরুতে কংগ্রেসের হাতও ধরতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু তখন কোনও উত্তর আসেনি অন্য তরফে। কিন্তু সম্প্রতি তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে আবারও আগ্রহ দেখিয়েছে কংগ্রেস। ফলে নির্দলরা বিজেপির পাশে থাকলেও তৃণমূলের পাল্লা যে কংগ্রেসেই এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ভোটের আগে, গোয়ার প্রার্থীদের মন্দির, মসজিদ এবং গির্জায় নিয়ে গিয়ে শপথ করিয়েছিল কংগ্রেস। প্রার্থীদের শপথ করানো হয় যে জিতে গেলে অন্তত ৫ টা বছর কংগ্রেসেই থাকবেন তাঁরা। কোনও মতেই দল ছেড়ে যাবেন না। ২০১৭ সালে গোয়ায় ১৭ টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু মাত্র ১৩ টি আসন পাওয়া বিজেপিতে যোগ দেন কংগ্রেসের ১০ জন বিধায়ক। যার ফলে গোয়ায় সরকার গড়ে বিজেপি। আবারও কি পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে এই ইতিহাস? নাকি এবার গোয়ার মসনদে বসবে কংগ্রেসই? সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার