বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় রেলওয়েকে বিশ্বের বৃহত্তম রেলপথগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পাশাপাশি দেশের একটা বিরাট সংখ্যক মানুষ প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করেন। যখন করোনা মহামারীর শুরুতে ভারতীয় রেল লকডাউনের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তখন কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়ে দেশের যাতায়াত ব্যবস্থা।
স্বাভাবিকভাবেই, ভারতের মত বিশাল জনসংখ্যার দেশে রেল যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন মাধ্যম তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। পাশাপাশি, এই কারণেই রেলপথকে দেশের যাতায়াতের অন্যতম “লাইফ লাইন” হিসেবেই গণ্য করেন সকলে।
যদিও, বর্তমানে করোনা মহামারীর ভয়াবহ রেশ কাটিয়ে ফের সচল হচ্ছে সবকিছু। পাশাপাশি, আগের মত শুরু হয়েছে রেল পরিষেবাও। তবে, ট্রেনে সফরকালে আমরা প্রায়ই চালককে বিভিন্ন রকমের হর্ন বাজাতে শুনি। কখনও কিছু সময়ের জন্য হর্ন বাজতে থাকে, আবার কখনও থামিয়ে থামিয়ে আবার কখনও বা একটানা হর্ন বাজাতে থাকেন চালক। স্বাভাবিকভাবেই, এই বিভিন্ন রকমের হর্ন কেন বাজাতে থাকেন চালক তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্নের উদ্রেক হয়।
বর্তমান প্রতিবেদনে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যই উপস্থাপিত করা হল। ট্রেনে চড়ে দীর্ঘ যাত্রার সময়ে আমরা অনেকবারই শুনতে পাই যে, চালক ছোট হুইসেল অর্থাৎ খুব কম সময়ের জন্য হর্ন বাজাচ্ছেন। এটার মানে হল, তখন চালক বোঝাতে চাইছেন যে, ট্রেনের আর অন্য ইঞ্জিনের প্রয়োজন নেই।
এছাড়াও, ট্রেন চলাকালীন চালকের একটি ছোট এবং ঠিক তার পরেই একটি দীর্ঘ হুইসেল দেওয়ার পেছনেও কারণ রয়েছে। সেক্ষেত্রে চালক বোঝাতে চান যে, তিনি এবার ট্রেনের পেছনের ইঞ্জিন থেকে সাহায্য নিতে চান।
পাশাপাশি, ট্রেনে সফরকালে চালক যখন দুটি ছোট হুইসেল বাজাতে থাকেন তখন তার অর্থ হল ড্রাইভার ট্রেনটিকে ইঞ্জিন থেকে খোলার জন্য গার্ডকে সতর্ক তথা আদেশ প্রদান করছেন।
তাছাড়াও, চালক যখন ট্রেন চালানোর সময়ে তিনটি ছোট হুইসেল দেন, তার মানে তিনি বোঝাতে চাইছেন যে, CTO-এর মাধ্যমে তিনি গার্ডকে ব্রেক লাগাতে নির্দেশ দিচ্ছেন এবং এমনও হতে পারে যে, ট্রেনটি আর তাঁর অধীনে নেই। অর্থাৎ এই হুইসেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।