বাংলাহান্ট ডেস্ক : মজার রিল এবং রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় কাজ করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চা দোকানদারকে। এর পর সেই চাওয়ালার অ্যাকাউন্টেই ঢুকল কয়েক কোটি টাকা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে।
জানা যাচ্ছে, উজ্জয়িনীতে একটি চায়ের দোকান চালাতেন রাহুল মালভিয়া। বেশ কিছুদিন আগে ২৫ হাজার টাকা মাস প্রতি মাইনের বিনিময়ে তাঁকে মজার রিল বানানো এবং রিয়েল এস্টেটে কাজের জন্য নিয়ে যায় একদল লোক। ইন্দোরের ওয়ার্ল্ড কাপ মোড়ের একটি হোটেলে দিন সাতেকের জন্য তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়। তখন রিল ভিডিও বানানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় রাহুলকে। সেই সঙ্গে খোলা হয় চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।
কিন্তু দিন সাতেক পরই আবার উজ্জয়িনীতে ফিরে আসেন ওই যুবক। তখন হঠাৎই জানা যায় যে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হচ্ছে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট গুলিতে। সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে যোগাযোগ করা হয় ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকেও। ব্যাঙ্কের কাছ থেকে টাকা লেনদেনের ব্যাপারটি জেনে সেই লোকদের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ করেন রাহুল। ব্যাপারটি কী তা জানতে চাইলে বলা হয়, যা চলছে তা যেন চলতে দেওয়া হয়। বিনিময়ে কিছু টাকা নিয়ে যেতে পারেন রাহুল।
সেখান থেকে ১৮ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন ওই যুবক। সেখানে একটি বাড়ি কিনে মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তিনি। কিন্ত সমস্যা যেন পিছু ছাড়তেই চায় না। চা দোকান চালিয়ে এবং তাঁর মা ধাবায় রান্না করে ওরকম একটি বাড়ি কেনা তাজ্জ্বব ব্যাপার বটে। খবর ছড়ায় এলাকায়। জিজ্ঞাসাবাদে জেরবার হয়ে অবশেষে থানায় যান যুবক। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই তোলপাড় শুরু হয় এলাকায়।
জানা যাচ্ছে যুবকের অ্যাকাউন্টে প্রতিদিন আসতে শুরু করেছিল ৯০ লক্ষ টাকা। দেখা যায় দে বিভিন্ন দফায় সেই অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে ৫ কোটিরও বেশি টাকা। ঘটনাটির তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পুরো ব্যাপারটি খতিয়ে দেখে রহস্যের কিনারা করার চেষ্টা চলছে বলেই খবর। কোথা থেকে আসছে অত টাকা, কী কাজেই বা লাগানো হচ্ছে তা, কোন চক্র কাজ করছে এর পিছনে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে সেই বিষয়গুলিও।