বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তেলের ব্যাপারে বলতে গেলে বলতে হয়, তেল সোনা বা সোনার থেকেও বড় যা দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখে। এটা ঘটনা যে যদি কিছু দেশ এ ব্যাপারে একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাহলে কী হবে? স্বাভাবিকভাবেই তখন বাকি দেশগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারতের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। OPEC দেশগুলির দ্বারা তেলের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ভারতীয় অর্থনীতিকে সমস্যায় যে ফেলছে তা বলা যায়। তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতিও বাড়ছে ক্রমশ। কিন্তু আশার কথা,ভারত বর্তমানে ওপেক বহির্ভূত দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং সেখান থেকে তেল আমদানিও করছে।
এটি ঘটনা যে নন-ওপেক দেশগুলি বিশ্বের মোট তেলের প্রায় ৬০% উৎপাদন করে। ভারতও ক্রমাগত ওপেক দেশগুলির উপর নির্ভরতা কমিয়ে চলেছে। আসলে ওপেক দেশগুলোর কারণে সারা বিশ্বে তেল ও গ্যাসের দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওপেক দেশগুলোর কারণেই তেলের ঘাটতি চরম আকার নিয়েছে। আর অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ায় দেশে পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাসের দাম বাড়ছে।
ভারত তাই সম্প্রতি ওপেক নয় এমন দেশ যেমন আফ্রিকা, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল আমদানি বাড়িয়েছে। উল্লেখ্য, ওপেকের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সব দেশে তেলের দাম অনেক বেড়েছে। ভারতের অবস্থাও একই। ভারত, ওপেকের বৃহত্তম ও বিশ্বস্ত গ্রাহক হওয়ায়, তেল আমদানিতে একটি ছাড় চায়। প্রাক্তন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বহুবার “এশিয়া লভ্যাংশ” নামক একটি ছাড়ের জন্য অনুরোধ করেছিলেন, তখন ওপেক দেশগুলি এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। ফলে আর কোনো পথ খোলা থাকেনা।
তথ্য অনুযায়ী, ভারত আমেরিকা ও কানাডা থেকে তেল আমদানি বাড়িয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা থেকে ভারতের তেল আমদানি যথাক্রমে ৭.৩% এবং ২.৭% রেকর্ড করা হয়েছে, যা এক বছর আগে ৫.৫% এবং ০.৭% ছিল।
ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি ২০২১ সালে ৩.৯% বেড়েছে যা প্রায় ৪২ লাখ ব্যারেল প্রতি দিন হয়েছে। জ্বালানির চাহিদা বাড়ায় এ বছর আমদানি আরও বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। ডিসেম্বরে আমদানি বেড়েছে ৪.৭ মিলিয়ন bpd যা প্রায় ১১ মাসের সর্বোচ্চ। ফলে পরিস্থিতি এখন কোনদিকে যায় তা দেখার।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা