বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা সিরিয়ালের মিষ্টি জুটি সিদ্ধার্থ মিঠাই (Mithai)। গত এক বছর ধরে গোটা বাংলার দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে জি বাংলার এই জনপ্রিয় সিরিয়াল। সেই সঙ্গে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundu) ও আদৃত রায়ও। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় থাকেন সৌমিতৃষা। স্টুডিও থেকে ব্যক্তিগত জীবনের খুঁটিনাটি শেয়ার করে নেন অনুরাগীদের সঙ্গে।
এই মুহূর্তে নিজেকে সিঙ্গল বলেই দাবি করেন সৌমিতৃষা। তবে প্রেম কি কখনোই আসেনি জীবনে? পর্দার মিঠাই জানান, ভাললাগা ছিল বটে একজনের জন্য। নিজের স্কুলের সহপাঠীকে মন দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঠিক প্রেম বলা যায় না সেটাকে। কারণ তখন দুজনে আলাদা করে দেখা করার সময়ই পেতেন না।
সৌমিতৃষা জানান, তাঁর বাড়ির পরিবেশ বেশ রক্ষণশীল ছিল। স্কুল থেকে টিউশন, যেখানেই যেতেন বাবা বা মা সঙ্গে যেতেন। দূরত্ব বাড়তে বাড়তে শেষে ব্রেকআপই হয়ে যায়। ভাললাগার কথাটা বলেই ওঠা হয়নি সৌমিতৃষার।
কিছুদিন আগেই ‘সোনার সংসার’ অ্যাওয়ার্ডে এসে সৌমিতৃষা জানিয়েছিলেন, বিয়ের ক্ষেত্রে তিনি লভ ম্যারেজই বেশি পছন্দ করেন। তবে তিনি এও জানান, বিয়ের পর বাবা মাকে ছেড়ে চলে যেতে হবে এই ভয়টা তাঁর ছোট থেকে। বাবা মায়ের ঋণ কখনো শোধ করা যায় না বলেই বিশ্বাস করেন সৌমিতৃষা। এখনো পর্যন্ত শটের মাঝেও বাবা মায়ের জন্য চিন্তা হয় তাঁর।
তাই তাঁদের থেকে দূরে দূরে তিনি থাকতে পারবেন না। অভিনেত্রী জানান, দরকার হলে স্বামীকে একটা ফ্ল্যাট কিনে দেবেন যাতে ফ্ল্যাট থেকে বেরোলেই বাবা মায়ের ফ্ল্যাট দেখতে পান তিনি। সর্বক্ষণ বাবা মায়ের পাশে পাশেই থাকতে চান সৌমিতৃষা।
গত চার পাঁচ সপ্তাহ ধরেই টিআরপি কমতির দিকে মিঠাইয়ের। সিদ্ধার্থ ওরফে আদৃতের যদিও বক্তব্য, টিআরপির কমা বাড়ায় টিমের উপরে কোনো প্রভাবই পড়ে না। কিন্তু সৌমিতৃষা বলেন, টিআরপি কমলে খারাপ একটু লাগেই। তবে দর্শকদের এক শতাংশও যদি তাঁদের ভালবাসেন তাও সেটা আশীর্বাদ বলেই মনে করেন সৌমিতৃষা।