বাংলাহান্ট ডেস্ক : সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর তার আগেই কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে কার্যতই রণংদেহি মূর্তিতে দেখা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন যে বিজেপির পক্ষে খুব একটা সহজ হবে না একথা মনে করিয়ে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন খেলা এখনও শেষ হয়নি।
৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে চারটি রাজ্যেই জিতছে গেরুয়া শিবির। সেই কারণেই আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে তাদের। এহেন অবস্থাতেই বরং উলটো হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর মতে, চার রাজ্যে জিতলেও আসন সংখ্যা অনেকটাই কমেছে বিজেপির। ফলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একা একা হালে পানি পাওয়া সম্ভব নয় বিজেপির পক্ষে। তিনি বলেন, ‘সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন রয়েছে। আমাদের সমর্থন ছাড়া তোমরা কিছুই করতে পারবে না। এটা খবরদার ভুলে যেও না।’
এর পর একের পর এক তোপ তাঁকে দাগতে দেখা যায় গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন,”দেশে মোট সাংসদদের অর্ধেকও যাদের নেই। তাদের মুখে এত বড় বড় কথা মানায় না। বিরোধীদের সমস্ত সাংসদকে একত্র করলে যে কোনও দিন তাদের থেকে বেশি।’ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে অখিলেশ যাদবের পক্ষে প্রচার করেছেন মমতা। এদিন সমাজবাদী পার্টির প্রসঙ্গও টেনে এনে তিনি বলেন, ‘বিধানসভায় হারলেও আগের চেয়ে অনেক বেশি আসন পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি। তাই খেলা এখনও শেষ হয়নি।’
বুধবার বিজেপি- তৃণমূল মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে কার্যতই তোলপাড় হয় বিধানসভা। ওয়াক আউট করেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা বিধানসভা থেকে বেরোনোর পরই তাঁকে তীব্র কটাক্ষ হানেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘পালিয়ে গেল। যদি গোরু চুরির কথা বলে দিই, বালির কথা বলে দিই। এঁচড়ে পাকা সব।’ তাঁর এহেন মন্তব্যকে কার্যতই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।
এদিন বিধানসভাতে ছিল রাজ্য পুলিশ বাজেটও। সেখানে দিল্লির পুলিশ তথা সিবিআইকে একহাত নিয়ে রাজ্য পুলিশের তুমুল প্রশংসাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ”পুলিশ পুলিশের কাজই করছে। দু’একজনের ভুল ভ্রান্তির জন্য এমনটা নয় যে বাংলার পুলিশ কালো আর দিল্লির পুলিশ ভালো। বাংলার পুলিশের সঙ্গে একমাত্র স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের তুলনা হয়।’ অমীমাংসিত আনিস হত্যা মামলা এবং জোড়া কাউন্সিলর হত্যা মামলা ইস্যুতে খানিক মলম দিতেই তাঁর এহেন মন্তব্য বলেই মত বিশ্লেষকদের একাংশের।