বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল পরিমাণে পরাজয়ের পর থেকেই বেহাল দশা রাজ্য বিজেপি দলের। পশ্চিমবঙ্গ এ জয়ের স্বপ্ন দেখার পরেও হারের সম্মুখীন হতে হয় তাদের। ফলে নির্বাচনের সময় অন্য দল থেকে আসা একাধিক নেতা পুনরায় তৃণমূলে ফিরে যায় এবং বিজেপি দলের কিছু নেতার বর্তমানে শাসকদলে যাওয়ার হিড়িক পড়ায় বিজেপির অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে যে খুব ভালো নয় তা বলা যায়।
এরপর উপনির্বাচন এবং পুরভোটের ফলে গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্র বিজেপির ভোট রেকর্ড হারে হ্রাস পেয়েছে। এই অবস্থায় সামনে দুটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে এবং সেই নির্বাচনের পূর্বে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল-এর বক্তব্য-এ এক নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এদিন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, বিজেপি দলের সংগঠন আগের তুলনায় বেশ নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। নিজের দলের গাফিলতির কথা স্বীকার করে নিলেও তিনি শাসক দলকে খোঁচা মারতে ভোলেননি।
প্রসঙ্গত, 12 ই এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের দুটি উপ নির্বাচন কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। একটি হলো আসানসোল এবং অপরটি বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। এর আগে পরপর দুবার আসানসোল কেন্দ্রে বিজেপি বাবুল সুপ্রিয়র হাত ধরে সেখানে জয়ের মুখ দেখেছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছে ফলে সেই কেন্দ্রে বিজেপি যেকোনো ভাবেই হোক জেতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে তৃণমূল দল এক মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে।
আসানসোল কেন্দ্রে তারা প্রার্থী করেছে বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকে। ফলে তারকা হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই যে কঠিন হবে তা মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, মুম্বইয়ের অভিনেতাকে আসানসোলের মানুষ সবসময় স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। কিন্তু বহিরাগত মানুষকে তারা কখনোই ভোটে জিতে ক্ষমতায় আনবে না। এভাবেই বহিরাগত ইস্যুতে তৃণমূল দলকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেত্রী। তিনি তার জেতার ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী এবং বিজেপি যে উপনির্বাচনে ভালো ফল করবে সে বিষয়েও জানান তিনি।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার