ক্রমশ কাছে আসছে ‘অশনি’ (Cyclone Ashani) । সূত্রের খবর, সোমবার আন্দামান উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে অশনি নামক ঘূর্ণিঝড়। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আশেপাশের দক্ষিণ আন্দাবান সাগরের উপর এক নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। ফলে আজ থেকেই নিম্নচাপটি ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা এবং পরবর্তীতে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ ধারণ করবে বলে আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
বর্তমানে আন্দামান সাগরের উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে নিম্নচাপটি এবং এটি শক্তি বাড়িয়ে আগামী পরশু দিন উত্তর মায়ানমার ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে উপস্থিত হবে। আজ থেকেই এর প্রভাবে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি করা হয়েছে। অবশ্য নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী যে তৎপর রয়েছে তা বলা যায়। তারা দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগরে জাহাজে করে সর্বত্র নজর রাখছে।
এছাড়াও মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে যাতে তারা আগামী তিন-চার দিন সেইসব এলাকায় মাছ ধরতে না যায়। আনদাবান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ পর্যটন কারীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় জায়গা হওয়ার ফলে তাদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যারা সেই এলাকায় রয়েছে তাদের সতর্ক করা হয়েছে এবং আপাতত একটি নিরাপদ জায়গায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মৌসম ভবনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “সাধারণত মার্চ মাসে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এপ্রিল বা মে মাসেই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। তবে এবার বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে যে নিম্নচাপ এসেছে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার আগেই তা শক্তি হারাবে ফলে বিশেষ চিন্তার কারণ নেই। তবে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিবর্তিত হওয়ার সময় আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের খুব কাছে অবস্থান করবে ফলে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।”