গোটা বিশ্ব ঘুরে সংগ্রহ করেছিলেন গয়না, বিপুল পরিমাণ সোনার কী হবে? জানালেন বাপ্পি লাহিড়ীর ছেলে

বাংলাহান্ট ডেস্ক: গলায় একগুচ্ছ সোনার চেন, হাতে চার পাঁচটা আংটি আর চোখে কালো সানগ্লাস। বাপ্পি লাহিড়ীকে (Bappi Lahiri) চিরদিন এমনি সাজে দেখে এসেছে সকলে। ‘দ‍্য গোল্ডেন ম‍্যান’ নামে খ‍্যাতি পেয়েছিলেন বাংলার ছেলে। সারা জীবন নিজেকে সোনা দিয়ে মুড়ে রাখা মানুষটার শেষযাত্রাতেও গলায় ছিল প্রিয় সোনার চেন। বাপ্পিদার মৃত‍্যুর পর কী হল তাঁর বিপুল সোনার সংগ্রহের? জানালেন ছেলে বাপ্পা (Bappa Lahiri)।

দীর্ঘ সঙ্গীতের কেরিয়ারে যেমন কালজয়ী সব গান সৃষ্টি করেছেন বাপ্পি লাহিড়ী, তেমনি তাঁর সংগ্রহে জমেছে একের পর এক সোনার গয়না। প্রয়াত গায়ক সুরকারের ছেলে বাপ্পা জানান, সোনা বাবার খুবই প্রিয় ছিল। শুধু ফ‍্যাশন দেখানোর জন‍্য নয়, সোনাকে নিজের জন‍্য ‘লাকি’ মনে করতেন বাপ্পিদা।

bappi lahri
বাপ্পা জানান, সোনার প্রতি এই আকর্ষণ বাপ্পি লাহিড়ীকে সারা বিশ্ব দৌড় করিয়েছে। হলিউড, ভ‍্যাটিকান সিটি থেকেও সোনা নিয়ে এসেছেন তিনি। যে গয়নাটাই পছন্দ হত সেটাকেই সোনায় রূপান্তরিত করে নিতেন তিনি। বাপ্পার কথায়, “সোনার সঙ্গে বাবার একটা আধ‍্যাত্মিক যোগ ছিল। কখনোই সোনা ছাড়া কোথাও যেতেন না তিনি। ভোর ৫ টার ফ্লাইট হলেও সমস্ত সোনা পরে তারপরেই বেরোতেন তিনি।”

সোনা ছাড়া বাপ্পি লাহিড়ী যেন অসম্পূর্ণ। তিনি নিজেও বহুবার এই বহুমূল‍্য ধাতুর প্রতি তাঁর ভালবাসার কথা বলেছেন। কিন্তু এখন সেই মানুষটাই নেই। যত্ন করে সংগ্রহ করা এত প্রিয় সোনা পড়েই রইল। তিনি পাড়ি দিলেন সুরলোকে? এই বিপূল পরিমাণ স্বর্ণরাশির এখন কী হবে?

bappi lahiri demise politicians react main 0
সুরকারের ছেলে বলেন, “বাবার সঙ্গে সোনার আত্মিক যোগ ছিল। তাই আমরা ওগুলো সংরক্ষণ করব। ওগুলোই বাবার সবথেকে প্রিয় জিনিস ছিল। আমরা চাই মানুষ সেগুলো দেখার সুযোগ পাক। তাই আমরা ওগুলো মিউজিয়ামে দেব বলে ঠিক করেছি।” সোনা ছাড়াও আরো গয়না, জুতো, সানগ্লাস, টুপি, ঘড়ির সংগ্রহ ছিল বাপ্পি লাহিড়ীর। সেসবও স্থান পাবে মিউজিয়ামেই।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর