এক টাকাও লাগবেনা ভাড়া! “কাশ্মীর ফাইলস” দেখতে গেলে বিনামূল্যে পরিষেবা দিচ্ছেন অটো চালক! ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সিনেমা বলতেই একবাক্যে যে নামটি উঠে আসছে তা হল “দ্য কাশ্মীর ফাইলস”। সাম্প্রতিক কালে ভারতের সিনে দুনিয়ায় একটি সিনেমা নিয়ে দর্শকদের এমন উন্মাদনা কার্যত চোখে পড়েনি। সমগ্র দেশজুড়েই সবার কাছে আবেগে পরিণত হয়েছে ছবিটি। এক কথায় বিবেক অগ্নিহোত্রীর “দ্য কাশ্মীর ফাইলস”-ই এখন সর্বত্র আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে।

ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও প্রশংসা করেছেন এই সিনেমার। এছাড়াও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে “কাশ্মীর ফাইলস”-এর প্রশংসা করেছেন। নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুরবস্থার ওপর তৈরি হওয়া এই সিনেমাটি দেখতেই কাতারে কাতারে দর্শক ভিড় জমাচ্ছেন সিনেমাহলে।

   

পাশাপাশি, মুক্তির দিন থেকেই বক্স অফিসে রীতিমত ঝোড়ো ব্যাটিং করছে এই সিনেমা। এছাড়াও, অসাধারণ ভাবে সমগ্র বিষয়টি সিলভার স্ক্রিনে ফুটিয়ে তুলতেও সক্ষম হয়েছেন পরিচালক থেকে কলাকুশলী সকলেই। যে কারণে হল থেকে বেরোনোর সময় কেউ কেউ এই কঠিন সত্যকে লুকিয়ে রাখার জন্য রেগে লাল হয়ে থাকলেও অধিকাংশ দর্শকেরই চোখের কোণ ভিজে গিয়েছে এই বাস্তব চিত্রকে প্রত্যক্ষ করে।

তবে, এবার “কাশ্মীর ফাইলস” দেখতে আসা দর্শকদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিষেবা দিচ্ছেন এক অটোচালক। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, যে সমস্ত দর্শক এই সিনেমাটি দেখতে আসছেন তাঁদের বিনামূল্যে সিনেমাহলে পৌঁছে দিচ্ছেন এক অটোচালক।

শুধু তাই নয়, ভাড়া দিতে গেলে তা নিতেও অস্বীকার করেন তিনি। পাশাপাশি, ওই অটোচালক জানান, এই সিনেমা প্রত্যেক হিন্দুর দেখতে আসা উচিত। এই কারণেই দর্শকদের বিনামূল্যে সিনেমাহলে পৌঁছে দিয়ে “জনসেবা” করছেন বলেও জানিয়েছেন ওই চালক। এদিকে, এই ভিডিওটিই বর্তমানে ভাইরাল হচ্ছে নেটমাধ্যমে। পাশাপাশি, নেটিজেনরা তাঁর এই কাজের জন্য কুর্ণিশও জানিয়েছেন তাঁকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, “কাশ্মীর ফাইলস” সিনেমাটির কোনো বড় প্রমোশন লক্ষ্য করা যায়নি বলিউডে। এমনকি, জনপ্রিয় কমেডিয়ান কপিল শর্মার শো’তেও দেখা যায়নি এই ছবির প্রমোশন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়াও, প্রথম দিকে ৬০০ স্ক্রিনে মুক্তি পেলেও পরবর্তীকালে দেশজুড়ে ৪০০০-এরও বেশি স্ক্রিনে চলছে ছবিটি। অধিকাংশ সময়ই হাউসফুল রয়েছে শো গুলি। এমনকি, অগ্রিম বুকিং না করলে পাওয়া যাচ্ছে না টিকিটও। আসলে দর্শকরাই এই ছবির প্রচারের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর