বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিন দুয়েকের ছুটি পেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন শ্বশুরবাড়ি। সেই হল কাল। রামপুরহাটের গণ হত্যালীলার বলি হলেন নব দম্পতি। রাতে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল দুজনের। ঘটনায় তীব্র শোকের ছায়া পরিবারে।
জানা যাচ্ছে, দুদিনের ছুটিতে স্ত্রী লিলি খাতুনকে নিয়ে বগটুই গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে এসেছিলেন পেশায় মাদ্রাসা কর্মরত সাজিদুর রহমান। বীরভূমের নানুর এলাকার বাসিন্দা তিনি। কিন্তু এই ঘুরতে আসাই ডেকে আনল চরম পরিণতি। পরিবার সূত্রে দাবি, সোমবার রাতে নাকি বগটুই থেকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছিলেন সাজিদুর। কাউকে ফোন করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ভাই আমাকে বাঁচা। এই গ্রামে একটা মার্ডার হয়ে গেছে। এখানের অবস্থা খুব খারাপ। কীভাবে এখান থেকে বের হব?’ কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বাঁচানো যায়নি তাঁদের দুজনকেই।
ঘটনায় কার্যতই শোকস্তব্ধ পরিবার। মৃত সাজিদুরের মা নুরনেহার বিবির অভিযোগ, ‘আমার ছেলে কোনও দোষ করেনি। ওরা আমার ছেলেকে আর বাকিদের একটা ঘরে বন্ধ করে মেরেছে। আমি শাস্তি চাই। আমি ফাঁসি চাই।’ মৃতের বাবা জানিয়েছেন, ‘দুপুরেই ছেলের সঙ্গে কথা হয়। কিন্তু তারপরই এই। ছেলে বৌমার মৃতদেহ যেন আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।’
তৃণমূলের উপপ্রধানকে বোম মেরে খুন করাকে কেন্দ্র করে কার্যতই রণক্ষেত্র রামপুরহাট। ১০ টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে শিশু এবং মহিলা সহ ১০ জনকে খুন করেছে দুষ্কৃতিরা। কার্যতই জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয়েছে সকলেরই। স্বভাবতই বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে তৎপর শাসকদল। বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল ঘটনার পিছনে খাড়া করেছেন টিভি তত্ত্ব। তাঁর দাবি টিভি ফেটেই আগুন লাগে বাড়ি গুলিকে। উল্লেখ্য, ঘটনার রেশ পৌঁছেছে দিল্লি অবধি। পুরো বিষয়টি জানার পর কেন্দ্রীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। কড়া পদক্ষেপের পথে এগোচ্ছেন রাজ্যপালও।