বাংলাহান্ট ডেস্ক: বগটুই কাণ্ড (Bagtui Massacre) নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি রাজ্য রাজনীতিতে। রাতের অন্ধকারে ঘুমের মধ্যে অসহায় ভাবে আগুনে ঝলসে মরতে হয়েছে নিরীহ গ্রামবাসীদের। মৃতের সংখ্যা ৭ ও হতে পারে, তার বেশিও হতে পারে। ২০২২ এ দাঁড়িয়ে এমন নৃশংস ঘটনা স্মৃতি উসকে দিয়েছে ফেলে আসা বছরগুলোর ঘৃণ্যতম গণহত্যার ঘটনাগুলোর।
বগটুই কাণ্ড নিয়ে শাসক বিরোধী দ্বন্দ্ব অব্যাহত। অথচ এমন নৃশংস ঘটনা নিয়ে বিশেষ সরব হতে দেখা যায়নি বুদ্ধিজীবীদের। তালিকায় রয়েছেন প্রখ্যাত সুরকার কবীর সুমন, শিল্পী শুভাপ্রসন্ন, সাংসদ অভিনেতা দেব (Dev), অভিনেতা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick), জুন মালিয়ার (June Maliya) মতো চেনা পরিচিত নাম।
টিভিনাইনের প্রশ্নে জুন বলেন, তিনি শুটিং ফ্লোরে ব্যস্ত। ফোনে কথা বললে নাকি ‘বকা’ দেবে! একই বক্তব্য কাঞ্চনেরও। শাসক দলের বিধায়কও জানান, তিনি শুটিংয়ে ব্যস্ত। ফোন ধরেছেন বলে শুটিংটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরে এ বিষয়ে মতামত দেবেন বললেও ‘পরে’টা আর আসেনি। কবি তথা পশ্চিমবঙ্গ কবিতা আকাদেমির সভাপতি সুবোধ সরকার ব্যস্ত কবিতা উৎসবে। গণহত্যার কথা শুনে আকাশ থেকে পড়লেন তিনি।
সবটা শুনে ‘বিষয়টা দেখতে হবে’ বলেই দায় সারলেন বিশিষ্ট কবি। একই সুর শুভাপ্রসন্নর কণ্ঠেও। রাজ্য তোলপাড় করা এমন ঘটনা সম্পর্কে তিনিও অজ্ঞাত। সুপারস্টার অভিনেতা তথা সাংসদ দেব অবশ্য এত কথায় না গিয়ে সরাসরিই জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে তাঁর কিছুই বলার নেই।
এদিক দিয়ে ব্যতিক্রম অভিনেত্রী তৃণা সাহা। এক বছর হল তিনিও যোগ দিয়েছেন রাজনীতিতে, সবুজ শিবিরে। তাঁর কথায়, একবিংশ শতাব্দীতেও যে এমন ঘটনা ঘটছে সেটা ভাবলেও অবাক লাগে। তাঁর মতে, আসল দোষী মানুষের মস্তিষ্ক। কেন এই খুনোখুনি তারা নিজেরাও জানে না।
অভিনেতা তথা বিজেপির তারকা সদস্য রুদ্রনীল ঘোষ ‘ভীত’ গোটা ঘটনায়। বাংলার এখন ঘোর অন্ধকার সময়। এমন অরাজকতা যে নিজের রাজ্যেই চলছে সেটা ভেবেই চমকে উঠছেন তিনি। তথাকথিত ‘বুদ্ধিজীবী’র তকমা পেলেও অন্যদের মতো মুখে কুলুপ আঁটেননি বা বিষয়টা এড়িয়েও যাননি পরিচালক অনীক দত্ত। বরং তাঁর কটাক্ষ, বাংলাতেই মনে হয় ‘বুদ্ধিজীবী’ শব্দটা গালাগালির সমান!