বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে যোগী আদিত্যনাথের ‘বুলডোজার বাবা’ অবতার যে ভালো রকম খেল দেখিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। তবে শুধু ভোটই নয়, সে রাজ্যের এখন এমনই অবস্থা যে রাস্তা ঘাটে বুলডোজার দেখলেও ভয়ে কাঁপতে শুরু করছে অপরাধীরা। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে যোগী রাজ্যের প্রশাসন।
আগেও এই বুলডোজারের ‘অপার ক্ষমতার’ সাক্ষী থেকেছে উত্তরপ্রদেশ বাসী। এক ধর্ষকের বাড়ির সামনে শুধুমাত্র একটি বুলডোজার পার্ক করে এসেছিল প্রতাপগড় পুলিশ। আর তাতেই আতঙ্কিত হয়ে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে সেই ধর্ষক। এরপর আবারও একবার কামাল দেখালো বুলডোজার। ফতেপুরে একদল দুষ্কৃতিকে ধরা হল এই বুলডোজারের সাহায্যেই।
ফতেপুরে একটি ট্রাকের মালিককে বিষাক্ত খাদ্য ও পানীয় খাইয়ে ট্রাক বোঝাই ৩৫ লক্ষ টাকার লোহার রড চুরি করে ওই দুষ্কৃতিরা। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দেখতে পায় যে একটি গোডাউনের ভিতরে রাখা রয়েছে সেই ট্রাকটি। কিন্তু তালা লাগানো ছিল চোরেদের মালিকানাধীন সেই গোডাউনে। শেষমেষ মাঠে নামে বুলডোজার বাবার বুলডোজারই। বুলডোজারের সাহায্যে গোডাউনের সীমানার প্রাচীর ভেঙে রড সমেত উদ্ধার করা হয় ট্রাকটিকে।
উল্লেখ্য, প্রায় একই রকম ভাবে পুর্বক্তো ধর্ষকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার রাতেই সেই অভিযুক্তের বাড়ির সামনে একটি বুলডোজার রেখে এসে পুলিশ হুমকি দেয় যে সোমবারের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে তার গোটা বাড়ি। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভয়ে কাঁপতে কাঁপতেই থানায় পৌঁছায় অপরাধী।
স্বভাবতই, যোগী আদিত্যনাথের অপরাধ দমনের এহেন অভিনব কৌশলের প্রশংসায় মজেছে গোটা দেশ। কেউ কেউ আবার পুরো বিষয়টিকে হিন্দি অ্যাকশন ছবির সঙ্গেও তুলনা করছেন। তবে রিল লাইফের চেয়ে রিয়েল লাইফেও যে অপরাধীদের মজা দেখাতে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই বুলডোজার বাবা, সেকথা বলাই বাহুল্য।