মাঝরাস্তায় ঝড়ের গতিতে চলছে এক্সপ্রেস ট্রেন! ভাইরাল ভিডিও দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে আমাদের কাছে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হল ট্রেন। বহুদূরের গন্তব্যেও নিশ্চিন্তে পৌঁছে যাওয়া যায় ট্রেন সফরের মাধ্যমে। কিলোমিটারের পর কিলোমিটার বিস্তৃত রেল ট্র্যাকের মাধ্যমেই ঝড়ের গতিতে এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে ছুটে চলে ট্রেন। পাশাপাশি, এই দৃশ্য দেখতেই অভ্যস্ত আমরা সকলে।

কিন্তু, কখনও ভেবেছেন ট্রেন যদি রেল ট্র্যাক ছাড়াই সাধারণ রাস্তা দিয়ে চলত তাহলে ঠিক কেমন দেখাত? হ্যাঁ, হঠাৎ এই উদ্ভট প্রশ্নে সকলেই চমকে গেলেও সম্প্রতি এইরকমই একটি ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। আর তারপর থেকেই এর রহস্য খুঁজতে রীতিমত সাড়া পড়ে গিয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে।

   

আমরা সবাই জানি যে, বর্তমান যুগ ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারের যুগ। পাশাপাশি, নেটিজেনরাও দিনের একটা বড় অংশ কাটাতে ভালোবাসেন সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলিতে। আর সেখানেই থাকে হাজার হাজার নিত্যনতুন ভাইরাল ভিডিওর ভিড়। সেগুলির মধ্যে অবশ্য এমন কিছু ভিডিও থাকে যেগুলিকে দেখে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে যায়। সম্প্রতি সেইরকমই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একটি এক্সপ্রেস ট্রেন ঠিক যেন রাস্তার ওপর দিয়েই অবলীলায় তীব্র গতির সাথে ছুটে চলেছে। প্রথমে এই দৃশ্য দেখে সকলেই চমকে গেলেও একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে ট্রেনটি নির্ধারিত রেল ট্র্যাকের ওপর দিয়েই নিজের গতিপথ বজায় রেখেছে। আসলে রেক ট্র্যাকের ওপর তীব্র ধুলো জমে যাওয়ার কারণে সেটি সকলেরই চোখ এড়িয়ে গিয়েছে। আর সেই কারণেই কিছুটা দৃষ্টিভ্রম ঘটেছে দর্শকদের।

যদিও, এই ভিডিওটি বর্তমানে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে নেটমাধ্যমে। ইতিমধ্যেই ৯৯ হাজারেরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন ভিডিওটি। পাশাপাশি, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লাইক এবং কমেন্টের সংখ্যাও। এছাড়াও, নেটিজেনরা নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এটি দেখে। প্রথমবার ভিডিওটি দেখে কেউ যে বিষয়টি বুঝতে পারেননি তা মেনে নিয়েছেন সকলেই। এর মধ্যে একজন মজার ছলে লিখেছেন, “এইটা দেখাই বাকি ছিল”, আবার অনেকে স্ক্রিনশটের মাধ্যমে রেল ট্র্যাকের উপস্থিতির বিষয়টিও তুলে ধরেছেন কমেন্টের মাধ্যমে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর