মাটি খুঁড়লে আলুর পরিবর্তে জমি থেকে বেরিয়ে আসছে স্বর্ণমুদ্রা! তীব্র হইচই এই গ্রামে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: একদম ছোট থেকেই আমরা আমাদের ঠাকুমা-পিসিমাদের কাছে গুপ্তধন সংক্রান্ত বিভিন্ন কাহিনি শুনে এসেছি। যেখানে রূপকথার নায়কেরা পাহাড়ের গুহা থেকেই হোক কিংবা মাটি খুঁড়ে, সন্ধান পেয়ে যেতেন গুপ্তধনের। তবে, নেহাতই কাল্পনিক এই ঘটনাগুলি যে নিছকই ভাবনা তা নয়, বরং মাঝে মাঝেই বাস্তবের মাটিতেও মেলে পুরোনো দিনের নানান ধরনের জিনিস। আর যেগুলি গুপ্তধনের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।

ঠিক যেমন বিহারের বক্সার জেলায় এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যা রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে সর্বত্র। এক কথায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে ঘটনাটি। মূলত, বক্সারের সোনবারসা থানার ওপি এলাকার গিরধর বারাও গ্রামে আলুর ক্ষেতে কাজ করার সময় এক মহিলা অত্যন্ত প্রাচীন কিছু স্বর্ণমুদ্রা খুঁজে পেয়েছেন। আর এই ঘটনাতেই অবাক সকলে।

   

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, ওই মহিলা মাঠে কাজ করছিলেন। সেখানেই জমিতে খননের সময় তিনি প্রথমে ১ টি স্বর্ণমুদ্রা পান। এরপরই তিনি আরও খনন করে ফের ২ টি মুদ্রা খুঁজে পান। এদিকে, চাষের জমিতে সোনার কয়েন খুঁজে পাওয়ার খবর সারা গ্রামে আগুনের মত পড়ে। এরপরে গ্রামবাসীরাও উপস্থিত হন জমিটির কাছে। জানা গিয়েছে যে, তারপরেও মাটি খুঁড়ে আরও একটি স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া যায়।

পাশাপাশি, এই ঘটনার খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। তারপরে ৩ টি স্বর্ণমুদ্রা উদ্ধার করে তারা। যদিও, ওই মহিলা একজনকে ১ টি কয়েন ২৭ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন বলেও জানা গিয়েছে। এছাড়াও, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের টিমকে বিষয়টি অবহিত করে ওই এলাকাটি ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে।

WhatsApp Image 2022 03 25 at 1.34.57 PM

ইতিমধ্যেই গ্রামের বাসিন্দাদের ওই জমিটি থেকে দূরে সরিয়ে রেখে চাষের জমিতে প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রা পাওয়ার রহস্য ঠিক কি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যে জমিটি থেকে প্রাচীন এই স্বর্ণমুদ্রাগুলি পাওয়া গেছে তা দীর্ঘদিন ধরে অনুর্বর ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। কিন্তু এবার সেই জমিতে আলু চাষ করেছেন গ্রামের এক ব্যক্তি।

সেখানেই গ্রামের মহিলারা আলু তোলার জন্য মাঠে কাজ করছিলেন। সেই সময়ে খননকালে এক মহিলা একটি সোনার মুদ্রা খুঁজে পান। তারপরেই শুরু হয়ে যায় তীব্র হইচই। তবে প্রাচীন এই স্বর্ণমুদ্রা পাওয়ার কারণ তদন্তের পরই সুস্পষ্টভাবে জানা যাবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর