বাংলাহান্ট ডেস্ক : রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ডে প্রথম থেকেই সরব বিজেপি। শুরু থেকেই তারা আওয়াজ তুলেছিল যে সিট নয়, ঘটনার তদন্ত ভার দিতে হবে সিবিআইকে। সেই দাবিতে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে ৭ দিন অবস্থান বিক্ষোভের পরিকল্পনাও ছিল গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু ইতিমধ্যেই গতকালই রামপুরহাট মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই অবস্থান বিক্ষোভটি প্রাসঙ্গিকতা হারালেও উলটে দাবি পরিবর্তন করেই মাঠে নামল বিজেপি। অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি বাতিলের বদলে নতুন দাবি নিয়েই সোচ্চার হল তারা।
পরিকল্পনা মতন শনিবার থেকেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিজেপি। এবার তাদের নতুন দাবি রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল সিবিআই তদন্ত। মহামান্য আদালত ইতিমধ্যেই সেই রায় দিয়ে দিয়েছে। সিবিআইও তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। এখন আমাদের দাবি, যাঁর নির্দেশে সব হয়েছে সেই পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুলিশ দপ্তর ছাড়তে হবে।’
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘গোটা বীরভূম জেলা জুড়েই যে খুন সন্ত্রাস লুঠের রাজনীতি চলছে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। বগটুইতে মেরেছে তৃণমূল, মারা গিয়েছে তৃণমূলেরই গরিব মানুষ, জেলে গিয়েছে তৃণমূল, আর মুখ্যমন্ত্রী এসে চেক বিলি করবেন না!’ এদিন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ডাকাতদের সর্দার বলেও দেগে দেন শুভেন্দু অধিকারী।
এই প্রেক্ষিতে অবশ্য সরব হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ”বগটুইতে সিবিআই তদন্তে কারও কোনও লাভ নেই। আসেই সিট এই বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চালাচ্ছিল। এখন সিটের কাছ থেকেই নথি নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই। সিট যাঁদেএ গ্রেপ্তার করেছিল তাঁদেরকেই হেফাজতে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ‘ দিল্লির বা শুভেন্দু অধিকারীর কথায় সিবিআই তার ক্ষমতার অপব্যবহার করলে যে ছেড়ে কথা বলবে না তৃণমূল, এদিন স্পষ্টতই এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।