বিজেপির জয়লাভে মিষ্টি বিতরণ করায় পিটিয়ে মারা হয় বাবর আলি কে! জেনে নিন তাঁর পরিচয়

বাংলা হান্ট ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে বিজেপি সমর্থক বাবর আলিকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় রীতিমত তোলপাড় হয়ে উঠেছে চারিদিক। জানা গিয়েছে যে, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বাবর বিজেপির পক্ষে প্রচার করেছিলেন এবং বিজেপি জয়লাভ করায় গ্রামে মিষ্টিও বিতরণ করেছিলেন তিনি।

এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন বেশ কয়েকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসা চলাকালীন লখনউতে বাবরের মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই বাবরের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। যেখানে তাঁকে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা গিয়েছে।

   

মূলত, কুশিনগরের রামকোলা থানা এলাকার কাঠঘড়ি গ্রামের বাসিন্দা সুবেদার আলির ছোট ছেলে বাবর আলি গ্রামের আমওয়া মোড়ে মুরগি বিক্রি করতেন। বাবরের দাদা রুস্তম আলি প্রায় ১২ বছর আগে মারা গিয়েছিলেন। এছাড়াও, তাঁর মেজদা চান্দে আলম মুম্বাইতে দর্জির কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে।

সূত্র অনুযায়ী, বাবা ও বড় দাদার মৃত্যুর পর চান্দে আলম ও বাবর আলাদাভাবে সংসার চালাতেন। বাবরের বাড়িতে মা ও স্ত্রী সহ এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে, যাদের বয়স ৪ ও ৬ বছর। চলতি বছরে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়েন বাবর এবং বিজেপি কর্মীদের নিয়ে দলের পক্ষে প্রচারও শুরু করেন তিনি।

দোকান চালানোর মাঝেই সময় বের করে বাবর আলি বিজেপির পক্ষে প্রচার করতেন। যদিও, একাধিকবার তাঁকে এই বিষয়ে অনেকে সাবধান করলেও তিনি বিজেপিকে সমর্থন করে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেন বলে জানা গিয়েছে।

এরপর গত ১০ মার্চ ভোট গণনা শেষে বাবর যখন সকলকে মিষ্টি খাওয়াতে শুরু করেন তখন ক্ষোভের মুখে পড়ে যান তিনি। এই প্রসঙ্গে বাবরের স্ত্রী ফতেমা জানিয়েছেন যে, পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বাবরকে মারধর করেন। এমনকি, বাবর প্রাণ বাঁচাতে ছাদে উঠে গেলেও প্রতিবেশীরা সেখানে পৌঁছে তাকে ছাদ থেকে নীচে ফেলে দেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।

xkushinagarbabarcase 1648447157.jpg.pagespeed.ic .KcQl7Pn2Uz

এরপরই বাবরকে চিকিৎসার জন্য রামকোলা সিএইচসিতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় লখনউতে। সেখানেই প্রাণত্যাগ করেন বাবর। অন্যদিকে, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় তদন্তের পাশাপাশি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর