বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাতসকালে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বাসন্তী। আর সেই বিস্ফোরণে উড়ে যায় একটি বাড়ি। সেই বিস্ফোরণে ফারুখ সর্দার আহত হলেও সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থাতেই পালিয়ে যায়। অবশেষে খোঁজাখুঁজির শুরুর দীর্ঘ সাত ঘণ্টা পর ধানের জমি থেকে উদ্ধার হয় তৃণমূল কর্মী ফারুখকে। ফারুখের শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে বলে জানা যায়।
ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করে তাঁকে প্রথমে ক্যানিং মহমকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে স্থানন্তরিত করা হয়। কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথেই তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার সকালেই হঠাৎ বিকট শব্দের আওয়াজ শুনতে পায় গ্রামবাসীরা। সেই আওয়াজ শুনতে পেয়ে তারা বাড়ির বাইরে এসে দেখতে পায় আগুন ধরে গেছে দক্ষিণ 24 পরগনার বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের 10 নম্বর বোরিয়া গ্রামের বাসিন্দা হামিজ উদ্দিন সরদার-র বাড়িতে।
এর পরেই সেই অঞ্চলে হইচই পরে যায় এবং আতঙ্কিত হয়ে পরে গ্রামের বাসিন্দারা। এর মধ্যে এক ব্যক্তি পুলিশে খবর দিয়ে সমস্ত ঘটনা জানালে সেখানে হাজির হয় প্রশাসন। এরপর পুলিশ এলাকায় হাজির হয়ে তদন্ত শুরু করে বলে জানা যাচ্ছে। তবে গ্রামবাসীদের অনুমান, হামিজ উদ্দিন সরদারের বাড়িতে বোমা মজুত করা ছিল এবং সেই বোমা ফেটেই যে এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে, সে বিষয়ে মত গ্রামবাসীদের একাংশের। বাড়ির মালিক হামিজ উদ্দিন সরদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।