বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা থেকে হিন্দি, হিন্দি থেকে তেলুগু। অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) অবিরাম ছুটছেন। এই ইন্ডাস্ট্রি থেকে ওই ইন্ডাস্ট্রি, এই শহর থেকে ওই শহর, এই ভাষা থেকে ওই ভাষা। দিন দিন ধারালো হচ্ছে তাঁর অভিনয়। মুম্বইতে যেমন কাজ করছেন তেমনি বাংলাকেও বঞ্চিত করেননি। বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর।
সম্প্রতি তেলেগু ছবিতেও ডেবিউ করছেন শাশ্বত। প্রভাস, অমিতাভ বচ্চন, দীপিকা পাডুকোনদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন তিনি। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিরই তো এখন বাজার গরম। হালে তেমন পানি পাচ্ছে না বাংলা ছবি। এমন পরিস্থিতি কেন?
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শাশ্বত বলেন, দক্ষিণে দর্শকরা কোনো ছবি ভাল লাগলে একবার কেন, পাঁচবারও দেখতে রাজি। অন্যদেরও দেখার পরামর্শ দেন। তাই পরিচালক প্রযোজকরাও ভরসা পান বড় বাজেটের ছবি করতে। আসলে দক্ষিণে দর্শকরা সিনেমাকে ভালবাসেন। ‘আর আর আর’ এর বাজেট নিয়ে এত চর্চা চলছে। পরিচালক রাজামৌলি জানেন যে, তিনি যা দিচ্ছেন তার সমান বা দ্বিগুণ ফেরতও পাবেন।
টলিউডের ক্ষেত্রে শাশ্বতর অভিযোগ, এখানে দর্শকদের চাহিদাটা দেখা হয় না। অনেকে শুধু বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানোর জন্যই ছবি বানান। অথচ দর্শক সেই ছবি বোঝেন না। বাংলায় এত ভাল ভাল লেখক আছেন। উত্তম সুচিত্রার ছবি গল্পের জোরেই এখনো পর্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে।
অথচ এখন বাংলা ছবির গল্প অন্যরা কাজে লাগাচ্ছে। আর টলিউড পরিচালক প্রযোজকরা নিজেরা পাকামো করছেন। কথায় কথায়, নাম গোপন রেখে এক পরিচালকের কাণ্ড জানালেন শাশ্বত। অভিনেতার কথায়, তিনি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেও বড় বোদ্ধা।
কারণ তিনি নিজে গল্প লিখেছেন যেখানে ব্যোমকেশ দাদু। তাঁর এক ছেলেও রয়েছে! গল্প শুনে সঙ্গে সঙ্গেই না করে দেন শাশ্বত। তাঁর স্পষ্ট কথা, “এই সব পাকামো বন্ধ না হলে বাংলা সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই।”