বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রের কাছে ব্রাত্যই রাজ্য বিজেপি? দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্য সরকারের নামে নালিশ জানাতে যাওয়ার কথা বলে হাওয়া হাওয়া বেশ গরম করে তুলেছিল বিজেপি। এরপরই দিল্লির উদ্দ্যেশে পাড়ি দেন রাজ্যের শীর্ষ বিজেপি নেতা তথা সাংসদরা। কিন্তু মাঝে কেটে গেছে ২টি দিন। যমুনা দিয়ে বয়ে গেছে বহু জল। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক তো দূর দেখাও করেননি প্রধানমন্ত্রী। দুদিনের অপেক্ষার কার্যতই হতাশ হয়ে ফিরতে হল বঙ্গ বিজেপির নেতাদের।
জানা যাচ্ছে, দিল্লির ৭ নম্বর লোককল্যাণ মার্গের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনেই প্রাতঃরাশ বৈঠক সারার কথা ছিল বাংলার সাংসদদের। সেখানেই রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে নালিশ করবেন বলে ভেবে রেখেছিলেন তাঁরা। বুধবারই হওয়ার কথা ছিল এই বৈঠক। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে জানা যায় বুধবার হচ্ছে না সেই প্রাতঃরাশ বৈঠক। বলা হয় বৃহস্পতিবার হতে পারে বৈঠকটি। কিন্তু বুধবার রাতেও আবার প্রশ্ন চিহ্ন দেখা যায় সেই বৈঠকের নিশ্চিয়তা নিয়ে। শেষমেশ জানা যায় বৃহস্পতিবারও হচ্ছে না সেই বৈঠক।
এরপরই হতাশ হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতারা। কিন্তু সেখানেও যথেষ্ট কাঠ খড় পোড়াতে হয় শুধুমাত্র অমিত শাহের সাক্ষাৎ পেতে। প্রথমে বেলা ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ সংসদ ভবনে অমিত শাহের ঘরে যান সুকান্ত মজুমদার। সেখানে গিয়ে তাঁকে শুনতে হয় অন্য একটি বৈঠকে ব্যস্ত রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। এরপর আবারও বেলা দেড়টা নাগাদ হাজিরা দেন তাঁরা। তখনও তাঁদের শোনানো হয় যে মধ্যাহ্নভোজ করছেন অমিত শাহ। শেষমেষে দুপুর দুটো নাগাদ মেলে সাক্ষাৎ।
অবশেষে বৃহস্পতিবার বিধায়ক মনোজ টিগগা এবং সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দেখা করেন অমিত শাহের সঙ্গে। বৈঠক শেষে সুকান্ত জানান, রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ডে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট তিনি তুলে দিয়েছেন শাহের হাতে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ না হওয়ায় বেশ কিছুটা হতাশ তাঁরা তা বলাই বাহুল্য। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে বলেন, ‘মোদীজির কিছু কর্মসূচি এসে যাওয়ায় বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্য কোনও বিষয় নেই।’
যদিও বিষয়টিকে এতটাও সহজ ভাবে দেখতে রাজি নন পর্যবেক্ষক মহল। বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধ রাজনৈতিক সমীকরণ প্রভৃতি কারণেই কি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ব্রাত্য বাংলার নেতারা? উঠছে প্রশ্ন।