ভারতের একমাত্র রেলস্টেশন যেখানে যেতে দরকার পরে ভিসা এবং পাসপোর্টের!

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেগুলি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেগুলি হল পাসপোর্ট এবং ভিসা। এগুলি ছাড়া বিদেশযাত্রা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্তু, রেলস্টেশনে যাওয়ার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এবং ভিসার ব্যবহার কখনও শুনেছেন? শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও ঠিক এইরকমই এক স্টেশন কিন্তু আমাদের দেশেই রয়েছে!

ভারতীয় রেল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক এবং এশিয়ার মধ্যে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমাদের দেশে মোট ৮৩৩৮ টি রেলস্টেশন রয়েছে। সেগুলির মধ্যেই এমন একটি স্টেশন রয়েছে যেখানে পৌঁছতে গেলে আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট এবং ভিসা কাছে রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভিসা ছাড়া কেউ এখানে গেলে তাঁর জেল পর্যন্ত হতে পারে।

   

কোন স্টেশনে রয়েছে এই নিয়ম?
ভারতের এই রেলস্টেশনের নাম হল আটারি (Attari)। তবে, বর্তমানে এই স্টেশনটি আটারি শ্যাম সিং স্টেশন নামেও সমধিক পরিচিত। এই স্টেশনে যাওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানি ভিসা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এমনকি, ২৪ ঘন্টা গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার দ্বারা পরিবেষ্টিত এই স্টেশনে, দেশের কোনো নাগরিক যদি ভিসা ছাড়াই পৌঁছে যান, তাহলে সেক্ষেত্রে ১৪ ফরেন অ্যাক্ট (ভিসা ছাড়াই এই রেলস্টেশনে আসার অভিযোগ) ধারায় মামলা করা হয় এবং যার জামিন পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার।

সবুজ সংকেত দেখানো হয় সমঝোতা এক্সপ্রেসকে:
দেশের সবচেয়ে ভিভিআইপি ট্রেন সমঝোতা এক্সপ্রেসকে এই রেলস্টেশন থেকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর বন্ধ হয়ে গিয়েছে সমঝোতা এক্সপ্রেস। এটি দেশের প্রথম রেলস্টেশন যেখানে ট্রেনকে সবুজ সংকেত দেওয়ার জন্য শুল্ক দফতর থেকে অনুমতি নেওয়ার পাশাপাশি ট্রেনে সওয়ার যাত্রীদের কাছ থেকেও অনুমতি নেওয়া হয়। এই স্টেশন থেকে টিকিট কাটার সময়ে যাত্রীদের পাসপোর্ট নম্বর লেখা হয় এবং প্রত্যেকেই ট্রেনে নিশ্চিতরূপে আসন পেতেও সক্ষম হন।

rail train mail

দেশের সর্বশেষ রেলস্টেশন:
পাঞ্জাবের আটারি ভারতের সর্বশেষ রেলস্টেশন। এর একদিকে অমৃতসর আর অন্যদিকে লাহোর রয়েছে। তবে, এই স্টেশনটি তেমন বড় না হলেও এটির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও এই স্টেশনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলছে। তবে, এখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশের অনুমতি সহজে মেলেনা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর