মমতার চালু করা একটি প্রকল্প বন্ধ করে দিচ্ছে কেন্দ্র! সমস্যায় পড়বেন কোটি কোটি মানুষ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা “ইজ্জত মান্থলি”-র ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে! এমনিতেই করোনার মত ভয়াবহ মহামারীর জেরে খেটে খাওয়া মানুষদের রোজগার কার্যত তলানিতে ঠেকেছে। সংসার চালাতে রীতিমত জেরবার হয়ে পড়ছেন তাঁরা। এমতাবস্থায়, ট্রেনে যাতায়াতের জন্য “ইজ্জত মান্থলি”-র সুবিধা থেকেও বর্তমানে বঞ্চিত থাকছেন তাঁরা। পাশাপাশি, আদৌ এই প্রকল্প ফের চালু হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরীব মানুষেরা যাতে সসম্মানে রেল পরিষেবা পেতে পারেন তার জন্য চালু করেছিলেন “ইজ্জত মান্থলি”। কিন্তু, করোনা মহামারীর পর রেলের তরফে এখনও চালু করা হয়নি এই প্রকল্প। এমনকি, এই পাস নিয়ে গেলে দরিদ্র যাত্রীরা কার্যত ফিরে এসেছেন রেলের কাউন্টার থেকে। তাই, বাধ্য হয়েই বেশি ভাড়া দিয়ে ট্রেনে চড়তে হচ্ছে তাঁদেরকে। অথচ এই প্রকল্প চালু করাই হয় সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষদের যাতায়াতের জন্য।

   

এদিকে, বর্তমানে দেখা গিয়েছে যে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনেক প্রকল্পেই আর অর্থ বরাদ্দ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। এবার নতুন করে “ইজ্জত মান্থলি”-র ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়ায় আবার সেই জল্পনার আগুনে কার্যত ঘি পড়েছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দেশের গরিব নিত্যযাত্রীরা।

“ইজ্জত মান্থলি”-র পরিষেবা কারা পেতেন?
জানা গিয়েছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাসে সর্বোচ্চ দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্যই চালু করেছিলেন এই “ইজ্জত মান্থলি”। এদিকে, করোনার জেরে গত দু’বছর ধরে বন্ধ রেলের এই মান্থলি টিকিট। এমতাবস্থায়, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের একটি বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, আপাতত ট্রেনের টিকিটে আর অন্যান্য কনসেশনের মতোই “ইজ্জত পাস”-ও চালু হচ্ছে না।

vvvvvhcbn

কি বলেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব?
সম্প্রতি যাত্রীবাহী ট্রেনে গরীব মানুষের জন্য “ইজ্জত মান্থলি”র সুবিধে এখনও দেওয়া হচ্ছে কি না এই বিষয়ে জানতে চান প্রয়াত রেল রাষ্ট্রমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গারির স্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ মঙ্গলা সুরেশ অঙ্গারি। এরই উত্তরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়ে দেন যে, “ওই পরিষেবাটি এই মুহূর্তে আপাতত দেওয়া হচ্ছে না। এমনিতেই করোনা মহামারীর কারণে রেলের রাজস্ব আদায় খুব কমেছে। যার ফলে ২০১৯–২০ সালের তুলনায় ২০২০–২১ অর্থবর্ষে রেলের আয় অনেক কমে গিয়েছে। এমতাবস্থায়, ইজ্জত মান্থলি পরিষেবা সহ ট্রেনের টিকিটে অন্য কনসেশনের ব্যবস্থাও এই মুহূর্তে চালু করা সম্ভবপর হবে না।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর