বাংলাহান্ট ডেস্ক : অবশেষে ফলপ্রসূ হতে চলেছে মমতা আদানি বৈঠক। বেলুড়ে এবার ১০০ একর জমিতে লজিস্টিকস হাব গড়ার পথে আদানি গোষ্ঠী। বিনিয়োগ হতে চলেছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। অদূর ভবিষ্যতে রাজ্যে কয়েক হাজার কর্মসংস্থানের দিশা দেখাবে এই প্রকল্প তা বলাই বাহুল্য। যদিও বিষয়টি সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট ভাবে মুখ খুলতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। আগামী ২০ এপ্রিল বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনেই হতে চলেছে এই জমি হস্তান্তর সম্পর্কিত চূড়ান্ত চুক্তি। তার পরেই বিষয়টিকে সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হবে এমনটাই খবর সূত্র মারফত।
এই প্রস্তাবিত লজিস্টিকস হাবটি যে জমিতে গড়ে তোলার কথা, সেখানেই আগে ছিল নিসকোর কারখানা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এই জমিতে শিল্প তালুক গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিল সরকার। এর আগে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো অপারেশন এজেন্সির সাহায্যে এখানে সেই চেষ্টাই চালায় রাজ্য সরকার। কিন্তু সফল হয়নি তা। সম্প্রতি জমিটি এসেছে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন দপ্তরের হাতে।
প্রশাসনিক কর্তাদের মতে বেলুড়ের এই জায়গাটি থেকে রেল স্টেশন, জিটি রোড, বালি ব্রিজ, নিবেদিতা সেতু, দ্বিতীয় হুগলি সেতু ইত্যাদি পরিবহন পরিকাঠামো গুলি অত্যন্ত কাছাকাছি হওয়ায় পণ্য মজুত এবং পরিবহণে অত্যন্ত সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়াও তৈরি হতে থাকা অমৃতসর -ডানকুনি ফ্রেট করিডরও নাগালের মধ্যেই। সেই কারণেই জায়গাটিকে ভৌগলিক কারণে লজিস্টিক হাবের জন্য উপযুক্ত মনে করে তা তুলে দেওয়া হচ্ছে আদানি গোষ্ঠীর হাতে।
উল্লেখ্য, শুধু এই শিল্প তালুকই নয়, এ রাজ্যে বন্দরের ক্ষেত্রেও বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে আদানি গোষ্ঠীর। ইতিমধ্যেই তাজপুরে বন্দর গড়ার তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে সরকারের তরফে। কিন্তু কার হাতে যাবে এই বন্দর তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তবে জানা যাচ্ছে যে এই প্রকল্পে সবচেয়ে কম দামের টেন্ডার দিয়েছে আদানি গোষ্ঠীই। ফলে এই প্রকল্প আদানি গোষ্ঠীর হাতে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
একই সঙ্গে রাজ্যের রাইসমিল, পাইপ লাইন ইত্যাদিতেও ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ সেরে ফেলেছে গৌতম আদানির সংস্থা। যেভাবে এই সংস্থা পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করার দিকে আগ্রহ দেখাচ্ছে তাতে তা বাংলার শিল্পের গ্রাফে বিরাট পরিবর্তন আনবে বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের। এবারের বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন যে বেশ কিছু বড় চমকই দেবে রাজ্যবাসীকে তেমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ।