বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকালই কোভিডবিধি না মানা, মহামারি পরিস্থিতিতে জমায়েত, পুলিশের কাজে বাধা ইত্যাদি একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে হওয়া একটি মামলায় ৭ দিনের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) থানায় হাজিরা দেওয়ার তলব করেছিল হলদিয়ার দুর্গাচক থানা। কাঁথি থানার মাধ্যমে সেই নোটিশ পৌঁছে দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতাকে। এই সমনের পরই কার্যতই হাইকোর্টের দেওয়া রক্ষাকবচের কথা উল্লেখ করে পুলিশকে এক হাত নেন শুভেন্দুর আইনজীবী। তারপরই এই সমন বাতিল করল দুর্গাচক থানা। মঙ্গলবার রাতেই সমন বাতিল করে ভুল স্বীকার করে চিঠি দিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে।
জানা যাচ্ছে, গত ১৬ মার্চ বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় অবৈধ ভাবে জমায়েত, মহামারী পরিস্থিতির মধ্যেই জমায়েত, অনুমতি না নিয়ে মিটিং মিছিল, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া প্রভৃতি একগুচ্ছ অভিযোগ আনা হয়। আর এই মামলার জেরেই শুভেন্দুকে থানায় তলব করে পুলিশ।
এই মামলায় হাজিরা দেওয়ার নোটিশটি শুভেন্দু অধিকারীকে কাঁথি থানার মারফত পাঠিয়েছিলেন ওই মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক। কিন্তু এর পরই বিষয়টির বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধী দলনেতার আইনজীবী। তাঁর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তীর দাবি, পুলিশ এভাবে কোনও মতেই নোটিশ দিতে পারে না শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেন, ‘এভাবে নোটিশ দেওয়ার পুরো বিষয়টিই অনৈতিক। এইভাবে কোর্টের অর্ডার অমান্য করে পুলিশ নোটিস দিতে পারে না। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে শুভেন্দু অধিকারীকে কোনও মামলায় তলব করতে হলে বা তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে হলে তাঁর নির্ধারিত সময়ে তাঁর নির্ধারিত জায়গায় এসে তা করতে হবে। এক্ষেত্রে তার কিছুই মানা হয়নি।’
এই নোটিশের প্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ সুপার এবং মামলার তদন্তকারী আধিকারিককে চিঠিও দেন আইনজীবী। সেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয় শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করতে হলে শুভেন্দু অধিকারীর থেকেই স্থান এবং সময় নির্ধারণ করাতে হবে। তা করা না হলে আইনী পথে হাঁটবেন বিরোধী নেতা। আর এর পরই রাতারাতি সেই সমন বাতিল করে ভুল স্বীকার করল পুলিশ। ঘটনার জেরে স্বভাবতই শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।