বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা ছবির (Bengali Film) হাল হকিকত কয়েক বছর ধরেই একটু খারাপ। করোনা পরবর্তী কালে ভরা প্রেক্ষাগৃহ কমই দেখা গিয়েছে বাংলা ছবির ক্ষেত্রে। ব্যতিক্রম অবশ্যই সাম্প্রতিক কালের বেশ কিছু ছবি। সেগুলো হিন্দি, ইংরেজি এমনকি দক্ষিণী ভাষার ছবিকেও টেক্কা দিয়ে রমরমিয়ে চলছে। এবার গত তিন অর্থবর্ষে রাজ্যের সিনেমা হলগুলিতে কটি বাংলা ছবি দেখানো হয়েছে তার হিসাব চাইল সরকার।
বলিউড, হলিউডের দাপটে বাংলা ছবির বাজার বেশ কয়েক বছর ধরেই পড়তির দিকে। উপরন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির রমরমা যেভাবে বাড়ছে তাতে অশনি সঙ্কেত দেখছে বলিউডও। টলিউডের অবস্থা আর কহতব্য নয়। বহুবার অভিযোগ উঠেছে, সিনেমা হল গুলি বিশেষ করে মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে বাংলা ছবি বেশিদিন টেকে না।
আসলে হিন্দি ও দক্ষিণী ভাষার তুলনায়বাংলা ছবির ক্ষেত্রে দর্শকদের ভিড় কম হয়। তাই ব্যবসাও কম। অনেক সময়ই রীতিমতো পরিশ্রম করে হল পেতে হয় পরিচালক প্রযোজকদের। সেটাও হয় হলের সংখ্যা কম হয় নয়তো শোয়ের সংখ্যা। করোনার পর থেকে সমস্যাটা আরো বেড়ে গিয়েছে।
এমতাবস্থায় বাংলা পক্ষর তরফে সমস্যাটা জানিয়ে নবান্নকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে সরকার। জানা যাচ্ছে, ২০১৯ এর এপ্রিল থেকে ২০২২ এর মার্চ পর্যন্ত তিনটি আর্থিক বর্ষে রাজ্যের প্রেক্ষাগৃহ গুলিতে মোট কটি বাংলা ছবি দেখানো হয়েছে তার হিসাব চেয়ে পাঠিয়েছে নবান্ন।
তথ্য ও সংষ্কৃতি দপ্তরের তরফে রাজ্যের সবকটি প্রেক্ষাগৃহ, সিঙ্গল স্ক্রিন ও মাল্টিপ্লেক্সগুলির মালিকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা রয়েছে, ১৯৫৪ সালের পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র আইন অনুসারে রাজ্যের প্রত্যেকটি প্রেক্ষাগৃহে বাংলা ছবির প্রদর্শন বাধ্যতামূলক।
২০১৮ সালের সংশোধিত নির্দেশিকা অনুযায়ী, জিটিএ এলাকা বাদে রাজ্যের সব সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হল ও মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে বছরে অন্তত ১২০ দিন দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে অন্তত একটি শোতে বাংলা ছবি দেখাতেই হবে। সেই নির্দেশ কতটা মানা হচ্ছে সেটা দেখার জন্যই তোড়জোড় রাজ্য সরকারের।