বাংলা হান্ট ডেস্কঃ 26/11 মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড হাফিজ সইদের 31 বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করল পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত এবং পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত-উদ-দাওয়া এর প্রধান হাফিজ সইদকে এদিন দুটি মামলায় সাজা দেওয়া হয়। রায়ে এদিন তাঁর যাবতীয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। জানা যাচ্ছে, হাফিজ সইদ যে মসজিদ ও মাদ্রাসা তৈরি করেছিল তাও দখল করা হবে। আদালত তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি 340000 টাকা জরিমানা করারও নির্দেশ দিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এর দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া হাফিজ সইদ এর আগেও 2020 সালে সন্ত্রাসবাদের একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়। সেই বার 15 বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয় এই জঙ্গী নেতাকে। তবে আদালতের সাজার পরেও পাকিস্তানে উন্মুক্তভাবে নিজের ঘোরাফেরা চালায় জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত-উদ-দাওয়া এর প্রধান হাফিজ সইদ। একাধিক জনসভা থেকে ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দিতেও শোনা যায় তাকে।
প্রসঙ্গত, 2009 সালে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন আমেরিকা যাত্রা করেন, তার কয়েকদিন আগেই হাফিজকে গ্রেফতার করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই খবরটি জানানোর পরে তোলপাড় শুরু হয় গোটা বিশ্বে। কিন্তু তারপরেও পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে অবাধে তাকে ঘুরতে দেখা যায়। এরপর হাফিজ সইদের মাথার দাম 10 মিলিয়ন ডলার ধার্য করে আমেরিকা। কিন্তু তাও অধরাই থেকে যায় সে।
বর্তমানে আদালত তার সাজা ঘোষণা করলেও আদতে তার জেল হবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে। বর্তমানে সরকারের দাবি অনুযায়ী, পাকিস্তানের স্থানীয় একটি জেলে হাফিজ রয়েছে। কিন্তু আবার দেশের একাধিক সংবাদ মাধ্যমের মতে, কিছু মাস পূর্বে হাফিজের বাড়ির সামনে একটি বিস্ফোরণ ঘটে আর সেই সময় সে তার বাড়িতেই উপস্থিত ছিল। ফলে সাজা ঘোষণা হলেও সেই সাজা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় সকলে।