প্রধান শিক্ষকের বদলিতে কান্নায় ভেঙে পড়ল পড়ুয়ারা, পায়ে পড়ে কোনক্রমে আটকে রাখার চেষ্টা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক সবসময়ই চিরন্তন। প্রত্যেকের জীবনেই এমন কিছু শিক্ষক থাকেন যাঁরা জীবনের পথে এগিয়ে চলতে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা নেন। আবার স্কুলে পড়ার সময়ই এমন কিছু শিক্ষক থাকেন যাঁরা একটু বেশিই পছন্দের হন ছাত্রছাত্রীদের। এমতাবস্থায়, সেই শিক্ষকের যখন বদলি ঘটে স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ হয়ে যায় সকলের।

ঠিক সেইরকম এক ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। জানা গিয়েছে যে, প্রধান শিক্ষকের বদলি আটকাতে স্কুলের অফিসরুমের সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনকি, প্রিয় শিক্ষককে স্কুল ছেড়ে না যাওয়ার জন্য পায়ে পড়ে কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা যায় ছাত্রীদের। শুধু তাই নয়, তার সাথে সাথে তারা ক্লাস ও দুপুরের মিড ডে মিল পর্যন্ত বয়কট করে।

   

ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার চাঁপাডালি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, “উৎসশ্রী” প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নরেশ রানা পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে নিজের বাড়ির কাছের একটি স্কুলে বদলির জন্য আবেদন করেছিলেন। সম্প্রতি সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে। আর তারপরেই প্রিয় শিক্ষককে স্কুল ছেড়ে যেতে দিতে নারাজ পড়ুয়ারা। যার ফলে কান্নায় ভেঙে পড়ে তারা।

যদিও, নিয়ম অনুযায়ী বদলি নিয়ে তাঁকে চলে যেতেই হবে। এমনকি, পড়ুয়াদের সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নরেশবাবু। কিন্তু, পড়ুয়ারা কার্যত নাছোড়বান্দা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১২ বছর ধরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নরেশ রানা সস্নেহে অভিভাবকের মত পড়ুয়াদের আগলে রাখার কাজ দায়িত্ব সহকারে পালন করে এসেছেন।

WhatsApp Image 2022 04 09 at 4.56.51 PM

এমনকি, ছাত্র-ছাত্রীদের যে কোনো সমস্যা অত্যন্ত তৎপরতার সাথে সমাধান করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এদিকে, প্রধান শিক্ষকের এমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসা পেয়ে তাঁকে নিজের আপনজন করে ফেলেছে স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা। এমতাবস্থায়, এই বদলির প্রসঙ্গ কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তারা। পাশাপাশি, অভিভাবক-অভিভাবিকাদেরও একই অবস্থা। প্রিয় শিক্ষকের বদলি রুখতে তাই হাপুস নয়নে কাঁদছে পড়ুয়ারা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর