বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, বাংলার বুকে একের পর এক খুন কিংবা হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বর্তমানে, মগরাহাটের সিভিক পুলিশ ও তাঁর বন্ধুর খুনে রীতিমতো ফুঁসছে এলাকাবাসী। প্রথমে গুলি করে পরে গলার নলি কেটে খুন করা হয় দুজনাকে। আর এবার এই জোড়া খুনকাণ্ডে সামনে এলো জানে আলমের নাম।
সম্প্রতি, মগরাহাটের মাগুরপুকুর এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী ও তাঁর বন্ধু মলয় মাখালের খুনের পর ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হল এলাকায়। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে দেখা যায় পুলিশকে। এরপর খুনের কাণ্ডে জানে আলমের নাম সামনে আসে। তবে সূত্রের খবর, বিকেল পর্যন্ত আলমকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এরপর, মূল অভিযুক্ত জানে আলমের একটি গরুর হাড় বোঝাই গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেয় গ্রামবাসী।
জানা যাচ্ছে, মলয় মাখালের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই টাকাপয়সা নিয়ে গোলমাল চলছিল জানে আলমের। সেইসঙ্গে জানে আলমের কাছ থেকে মলয় মাখাল প্রায় লাখের কাছাকাছি টাকা পেতেন বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছে। আর এই বিষয়েরই মধ্যস্থতা করছিলেন বরুণ নামের ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। ফলে এদিন টাকা মেটানোর নাম করেই মলয় ও বরুণকে ডেকে আনেন জানে আলম। পুলিশের সন্দেহ সেখানেই সেই দুজনকে প্রথমে গুলি করে পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের খুন করা হয়।
এলাকায় জানে আলমের যথেষ্ট প্রভাব ছিলো বলেই জানা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরণের কালোবাজারি ও দুনম্বরী কাজে যুক্ত ছিলো জানে আলম। পাশাপাশি সে একটি চিটফান্ডও চালাত। সম্প্রতি, পশুর হাড় থেকে জৈব সার তৈরির ব্যবসা শুরু করে সে। এছাড়াও তার ইমারতি দ্রব্য সরবরাহের ব্যবসা ছিলো বলেও জানা যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে স্থানীয় যুবকদের কাছ থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগও রয়েছে।
বিশাল অর্থের মালিক জানে আলমের মগরাহাটের একাধিক স্থান ছাড়াও বেহালাতেও বাড়ি আছে। ফলে তার কাছে এত অর্থ কোথা থেকে আসলো, এসকল দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বর্তমানে, গোটা ঘটনায় উত্তপ্ত মাগুরপুকুর এলাকার লোকজন। অভিযুক্তর গ্রেফতারির দাবিতে ফুঁসছে সকলে। এই অবস্থায় পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয়, সেদিকে তাকিয়ে এলাকাবাসী।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা