কাটমানি খাচ্ছে পুলিশ! বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এতদিন শুধুমাত্র অভিযোগ করতেন বিরোধী দলের কর্মীরা, এবার নিজেই সেই ঘটনাকে সত্যি প্রমাণ করলেন তৃণমূল বিধায়ক। মালদহের তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় রতুয়ায় অবস্থিত একটি বাঁধ সংস্কারের শুভক্ষণে উপস্থিত হয়ে প্রকাশ্যে ঘুষ খাওয়ার অভিযোগ তুললেন স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে। তিনি জানিয়েছেন যে ওখানকার মাটি পাচারকারীদের থেকে টাকা খায় দুর্নীতিগ্রস্থ কিছু পুলিশকর্মী!

সমর মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি ডিএম-এসপি-ডিআইজি সকলকে অনুরোধ করেছি যে এখানকার (রতুয়ার) আইসিকে যেন সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু সেই অনুরোধে কোনও লাভ হয়নি। প্রতিদিন নাককাটি ব্রিজের তলায় অনেকটা করে মাটি ট্রাকে করে পাচার করা হচ্ছে। এমন করলে একদিন বাঁধ‌টাই থাকবে না। পুলিশ সব জেনেও চুপ। এমনটা হতে থাকলে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদনাম হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে আমি সরাসরি তার কাছেই অভিযোগ জানাব।”

বুধবার রতুয়ার সূর্যপুরে ফুলহার নদী বাঁধ সংস্কারের সূচনা করার সময় সময় মুখোপাধ্যায়ের সাথে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। মালদহের জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সীও সেখানে হাজির ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই সবার সামনে এমন মন্তব্য হওয়ায় একটু অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়। তবে সমর বাবুর মতো কড়া সুরে না হলেও এই ঘটনার নিন্দা করেছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রীও। প্রভাব খাটিয়ে এই চক্র চালানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মালদহের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত করে দেখেছি পুলিশ নির্দোষ। উনি অভিযোগ করেছেন ঠিক আছে, কিন্তু সেই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। শাসক দলের কর্মীর সাথে পুলিশের এই বিতর্কে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে বিজেপি।

ওখানকার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “এই অভিযোগের দুটো দিক আছে। হয় তিনি সত্যি কথা বলে ফেলেছেন, আর না হলে কাটমানির ভাগ পাচ্ছেন না বলে মুখ খুলেছেন!” প্রসঙ্গত, ক্রমশই মালদহে নদী ভাঙন সমস্যা মারাত্মক সমস্যা হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে জায়গায় জায়গায় শাসকদলের দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মীদের পাল্লা দিয়ে মাটিকাটা ও বালি পাচারের কাজের জন্য এই সমস্যা ক্রমশই বাড়ছে। ফলে ভাঙন সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর