বুলডোজারের আতঙ্কে গড়গড় করে সব উগড়ে দিল চোরেদের প্রধান, উদ্ধার ২ কোটি টাকার সামগ্রী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ পুলিশ সম্প্রতি এক গাড়ি চুরি চক্রের প্রধানকে পাকড়াও করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে তার সহযোগী ও চোরাই জিনিসপত্রের কোনো তথ্যই দিচ্ছিল না। এমতাবস্থায়, পুলিশ তার বাড়িতে বুলডোজার চালানোর হুমকি দেয়। এদিকে, বুলডোজারের নাম শুনেই পুলিশের সামনে সব রহস্য ফাঁস করে দিল অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্তের নাম নাসিরুদ্দিন ওরফে নাসির। গত ১২ এপ্রিল এই ঘটনাটি ঘটে। স্বাভাবিকভাবেই, পুলিশের কাছে এটি একটি বিরাট সাফল্য।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, SHO ইন্সপেক্টর রঞ্জন শর্মা নাসিরের বাড়ির জন্য একটি বুলডোজার চাইতেই নাসির ১০ টি গাড়ি এবং ৪০ টি যানবাহনের যন্ত্রাংশ ছাড়াও প্রায় দু’কোটি টাকার চুরি যাওয়া জিনিসপত্রের হদিশ দিয়েছে। এছাড়াও, তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই গ্যাংয়ের আরও ৬ সদস্যকেও শনাক্ত করে পুলিশ।

   

এখনও পর্যন্ত পুলিশ এই চক্রের মোট ১২ জন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আসামীরা সবাই পেশাদার অপরাধী। উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লির একাধিক থানায় তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

ইলেকট্রিশিয়ান এবং ড্রাইভার সেজে চলত অপরাধ:
মোরাদাবাদ পুলিশ থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, নাসির ইলেকট্রিশিয়ান অথবা অটো চালক সেজে তাদের পরবর্তী লক্ষ্য স্থির করত। এসি ঠিক করার অজুহাতে নাসির বাড়ি বাড়ি যেত। সেই সময়ে বাড়ির বাইরে পার্কিং করা গাড়ি দেখে সে সেগুলিতে চুরি করা যন্ত্রাংশ সস্তায় লাগানোর পরামর্শ দিত। অন্যদিকে, অটোচালক হিসেবে সস্তায় চোরাই পণ্য কেনার প্রস্তাবও দিত সে।

এখানেই শেষ নয়, গ্রামের বাইরে জঙ্গলে তৈরি একটি গোডাউনে দুই বছর ধরে চোরাই গাড়ি কেটে বিক্রি করত নাসির। তার গ্যাংয়ের অন্য সদস্যদের কথাও পুলিশকে জানায় সে। সেই অনুযায়ী, মুনওয়া ওরফে মুন্না, আলী আহমেদ ওরফে গুপ্তা ও রিজওয়ানের কথা পুলিশ জানতে পারে।

এর সঙ্গে তদন্তের ভিত্তিতে আমরোহা জেলা থেকে শহিদ, রিজুল, ইমরান, ফুরকান ও আরমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে এসপি সিটি অখিলেশ ভাদৌরিয়া জানিয়েছেন যে, এই গ্যাংয়ের আরও ৬ সদস্য এখনও পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পলাতক আসামীদের নাম হলো শানে আলম, মুনওয়া ওরফে মুন্না, আলী আহমেদ ওরফে গুপ্তা, রিজওয়ান, সেলিম ও জুম্মা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর