বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডি বিয়ে মানেই রাজকীয় বিয়ে। সেখানে টাকা ওড়ে। আর এখন তো ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের রীতি মেনে বিদেশে বিয়ে করার দিকেই বেশি ঝোঁক তারকাদের। তবে সেসব কিছুই করেননি রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor) ও আলিয়া ভাট (Alia Bhatt)। বিদেশে বা অন্য রাজ্যে বিয়ে তো দূর, কোনো পাঁচতারা হোটেলও ভাড়া করেননি ‘রণলিয়া’ জুটি।
অভিনেতার ‘বাস্তু’ অ্যাপার্টমেন্টেই বসেছিল তাঁদের বিয়ের আসর। যেন এক রকম হুটোপাটি করেই বিয়ে সারলেন দুজনে। দুই পরিবারের আত্মীয় স্বজন এবং ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধুবান্ধবই এসেছিলেন অনুষ্ঠানে। তবে ঐতিহ্য এবং রাজকীয়তা বজায় রেখেছিলেন রণবীর আলিয়া।
বিয়েবাড়ি মানেই একরাশ মজা আর হই হুল্লোড়। শ্যালিকাদের জামাইবাবুর জুতো চুরির মজার প্রথা তো প্রায় সব বিয়েবাড়িতেই হয়। তারকারাও কিন্তু ব্যতিক্রম নন। তারকা জুটির বিয়ের পুরোহিত জানান, আলিয়ার বোন আর বান্ধবীরা মিলে জামাইবাবু রণবীরের জুতো লুকিয়ে রেখে দিয়েছিলেন।
যথা সময়ে খোঁজ পড়ে জুতোর। শ্যালিকাদের দাবি, জুতো ফেরত পাবেন রণবীর। তবে শর্ত আছে। মোট সাড়ে ১১ কোটি টাকা দিতে হবে তাঁদের। এক জোড়া জুতোর দাম এত! রণবীর নাকি রাজিই হননি প্রথমে। কিন্তু শ্যালিকারাও নাছোড়বান্দা। শেষমেষ তাঁদের হাতে একটি টাকার খাম ধরিয়ে দেন অভিনেতা।
খাম খুলেই শ্যালিকাদের চোখ কপালে। দাবি ছিল সাড়ে ১১ কোটি টাকার। এদিকে রণবীর মাত্র ১ লক্ষ টাকা দিয়েই খালাস! তারপর শ্যালিকাদের রাগ জামাইবাবুর উপরে গিয়ে পড়েছে কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি। অন্যদিকে বরপক্ষকে বিশেষ কাশ্মীরি শাল উপহার দেওয়া হয়েছে কনেপক্ষর তরফে। সেগুলো আলিয়া নাকি নিজে পছন্দ করে রেখেছিলেন।
বিয়ের পর মাত্র কয়েকদিন ছুটি কাটিয়েই ফের কাজে যোগ দেবেন আলিয়া। করন জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। এছাড়াও হলিউডে ‘দ্য হার্ট অফ স্টোন’ ছবি দিয়ে ডেবিউও করবেন আলিয়া। তাই ৪০ দিন ধরে চূড়া পরে থাকার প্রথাটা বাদ দেওয়া হয়েছে।