অপারেশনের মাঝেই খুদে বলে চলেছে ‘হাট্টিমাটিম টিম” ছড়া, ভাইরাল ভিডিও দেখে অবাক নেটিজেনরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রতিটি অপারেশনই চিকিৎসক এবং রোগীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অপারেশন টেবিলে যখন কোনো শিশু থাকে তখন অপারেশনটি আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায় চিকিৎসকদের কাছে। তবে, সম্প্রতি এক অনন্য ঘটনা সামনে এসেছে। খুদের অপারেশন করতে গিয়ে এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন চিকিৎসক। আর যা দেখে অভিভূত হয়েছেন সকলেই।

পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরালও হয়েছে নেটমাধ্যমে। বর্তমানে যেটি ঝড়ের গতিতে শেয়ার হয়ে পৌঁছে গিয়েছে সকলের কাছেই। শিশুদের অপারেশন করতে গেলে যে অত্যন্ত যত্নশীল এবং তাদের সাথে একাত্ম হয়ে যেতে হয়, সেটাই যেন স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে ভিডিওটিতে।

   

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, অপারেশন টেবিলে একটি শিশুর হাতে অস্ত্রোপচারের সময়ে তাকে ভয়মুক্ত রাখতে এবং মনকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চিকিৎসক তার সাথে কথা বলছেন। শুধু তাই নয়, তার সাথে সাথে ওই শিশুটিকে অপারেশন চলাকালীনই হাট্টিমাটিম টিম ছড়াটি বলতে বলেন তিনি। এদিকে, ওই শিশুটিও সেই অবস্থাতেই একপ্রকার কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকে ছড়াটি।

যদিও, ওই শিশুটির সাথে সেই চিকিৎসকও বলেন এই জনপ্রিয় ছড়া। আর এর মাঝেই অপারেশনের কাজ সেরে ফেলেন তিনি। মূলত, বাংলাদেশের চিকিৎসক মোহাম্মদ নাজমুস শাকিব বাপ্পি এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন এবং উনিই ওই অপারেশনটি সম্পন্ন করেন। ফেসবুকে ভিডিওটি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “যখন আপনি জীবনে বড় সমস্যার মধ্যে থাকলেও হাট্টিমাটিম টিম আপনার পছন্দের ছড়া হয়….।”

পাশাপাশি, তিনি আরও জানান যে, “লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে এই বাবুদের কাটাছেড়া মেরামত করতে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। হাত ছোড়াছুড়ি, কান্নাকাটি, মারামারি আরো অনেক কিছু থাকে। কিন্তু আমাদের এই বাবুর প্রিয় ছড়া হাট্টিমাটিম টিম তার জন্য এই দুঃসময়কে কাটিয়ে ওঠার প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।”

এদিকে, ইতিমধ্যেই এই ভিডিওটি দ্রুতহারে ভাইরাল হচ্ছে নেটমাধ্যমে। শুধু তাই নয়, এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষ দেখেছেন ভিডিওটি। পাশাপাশি, ৮ হাজার জন লাইক করেছেন এটি। এছাড়াও, এহেন বিরল ভিডিও দেখে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা। এমনকি, ভিডিওটির কমেন্টে ওই শিশুটির মা লিখেছেন, “আমার ছেলেটা অনেক কান্না করছে দেখে অনেক খারাপ লাগছে। দোয়া করবেন যেন ডাক্তার হয়ে ও একদিন অনেক শিশুর সেবা করতে পারে। ও হাট্টিমাটিম টিম ছাড়াও অনেক ছড়া পারে।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর