বাংলাহান্ট ডেস্ক: গোটা বিশ্বের সর্বত্র রাস্তায় নমাজ পড়া বন্ধ করা উচিত। টুইটারে এভাবেই সোচ্চার হলেন বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। নমাজের বিপক্ষে তিনি নন। কিন্তু রাস্তা আটকে সমবেত ভাবে নমাজ পড়াকেও তিনি সমর্থন করেন না বলে জানান তসলিমা।
টুইটে লেখিকা লিখেছেন, ‘মসজিদে মুসলিমদের নমাজ পড়ার অধিকারকে আমি সমর্থন করি। যদিও আমি বিশ্বাস করি যে প্রার্থনার সবথেকে ভাল জায়গা হল নিজের বাড়ি। কিন্তু রাস্তায় যান চলাচল আটকে অসুবিধার সৃষ্টি করে নমাজ পড়াকে আমি সমর্থন করি না। বিশ্বের সর্বত্র রাস্তায় বসে নমাজ পড়া বন্ধ করা উচিত।’
মৌলবাদীদের তোয়াক্কা না করে বরাবর উচিতের পক্ষে সুর চড়িয়েছেন তসলিমা নাসরিন। ভারতে হিজাব বিতর্ক নিয়ে সরব হয়েছিলেন লেখিকা। দাবি করেছিলেন, বোরখা হিজাবের মতো পোশাক মহিলারা স্বেচ্ছায় পরেন না। তাদের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়। পুরুষদের নজর থেকে বাঁচার জন্য ঢেকেঢুকে রাখা হয় মেয়েদের, এমনি ভাষায় তোপ দেগেছিলেন তসলিমা।
I defend Muslims for their right to offer namaz in mosques, even though i believe the best place for prayer is home. But i do not defend them when they offer namaz on roads by blocking roads and disrupting traffic. Everywhere in the world namaz on roads should be banned.
— taslima nasreen (@taslimanasreen) April 18, 2022
পরবর্তীকালে বাংলাদেশে টিপ বিতর্ক নিয়েও ধর্মের ধ্বজাধারীদের একহাত নিয়েছিলেন লেখিকা। এমনকি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখে তসলিমা দাবি করেছিলেন, ছবির গল্প যদি পুরোপুরি সত্য হয় তবে কাশ্মীরি হিন্দুদের অবিলম্বে তাদের জায়গা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। বাংলাদেশ থেকে যে হিন্দুদের বিতাড়িত করা হয়েছিল সেটা নিয়েও ছবি তৈরি করা উচিত বলে দাবি করেছিলেন তসলিমা।
সত্যিটা বলার জন্য বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছেন লেখিকা। একাধিক বার নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। কিন্তু মাথা নোয়াননি তসলিমা। ভারতে লাউড স্পিকারে আজান দেওয়া নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের পর কাশীতেও আজানের সময় লাউড স্পিকারে তারস্বরে হনুমান চালিশা শোনানো হয়। এবার তসলিমার এমন মন্তব্যে বিতর্ক আরো বাড়বে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।