বাংলাহান্ট ডেস্ক: পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের (Parambrata Chatterjee) পরিচালনায় পয়লা বৈশাখে মুক্তি পেয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) বায়োপিক ‘অভিযান’। আর মুক্তির পরেই বিতর্কে জড়ালো ছবিটি। পরিচালক পরমব্রতর বিরুদ্ধে উঠল তথ্য বিকৃতির অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবির কিছু দৃশ্য নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছেন প্রয়াত কিংবদন্তির কন্যা পৌলমী বসু এবং তাঁর একজন আত্মীয়।
দু বছর আগে ইহলোক ত্যাগ করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সেই ‘লেজেন্ড’ এর জীবন কাহিনি বড়পর্দায় তুলে ধরেছেন পরমব্রত। গত ১৫ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে ‘অভিযান’। তারপরেই অভিনেতার আত্মীয় শ্রমণা ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেন, ছবিটিতে একাধিক তথ্য বিকৃত করা হয়েছে।
সেই সুর ধরে সৌমিত্র কন্যা পৌলমী বসুও হতাশা ব্যক্ত করেছেন একটি ফেসবুক পোস্টে। তাঁর বক্তব্য, তিনি জানেন না এমন কোনো দৃশ্যে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনয় করতে কেন সম্মত হলেন যার সঙ্গে বাস্তব ঘটনার কোনো মিল নেই। কিন্তু এখন তাঁর হাত বাঁধা, কারণ ‘বাপি’ নিজেই ওই ছবিগুলিতে অভিনয় করে গিয়েছেন। পৌলমীর দাবি, যে দর্শকরা তাঁদের পরিবার সম্পর্কে কিছুই জানেন না, তারা এই ছবিটা দেখেই একটা ধারনা বানিয়ে নেবেন। আর সৌমিত্রর জীবনের শেষ দিনগুলো সম্পর্কে কষ্ট অনুভব করবেন।
বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই মুখ খোলেন পরমব্রত। তাঁর বক্তব্য, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং পৌলমী বসু দুজনেই চিত্রনাট্য সম্পর্কে জানতেন। এমনকি অভিনেতার মেয়ে কিছু দৃশ্যে সাহায্যও করেছেন। তাহলে তখন কেন আপত্তি তুললেন না? দু বছর পর যখন ছবি মুক্তি পেল তখনি আপত্তি কেন?
পরমব্রত আরো জানিয়েছেন, ছবিটি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। তিনি যথেষ্ট সময় নিয়ে চিত্রনাট্যটি পড়ে, ভেবেচিন্তে তারপরেই সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। এই চিত্রনাট্যটি যখন তাঁকে পড়ে শোনানো হয় এবং যখন শুটিং শুরু হয় তখন অভিনেতা সম্পূর্ণ স্বজ্ঞানে ছিলেন। নিজে অভিনয়ও করেছেন। তাই এখন কে কী বলল না বলল তা নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন পরমব্রত। তাঁর দাবি, ‘সৌমিত্র জেঠু’ বেঁচে থাকলে নিজেই উত্তর দিতেন।