বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় আবারও হুমকির অভিযোগে শিরোনামে উঠে এলেন এক তৃণমূল নেতা। সঙ্গে স্থানীয় থানার পুলিশের যোগসুত্র আছে বলেও অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর নামক এলাকায়। স্থানীয় থানার পুলিশ এবং নিজের দেহরক্ষীকে নিয়ে এলাকার এক মহিলাকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল ভাঙড় এক নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি শাহজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি, তৃণমূল নেতার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায়, এক মহিলাকে গুলি করে খুনের হুমকি দিচ্ছেন তিনি। তবে হঠাৎ মহিলাটির ওপর তিনি কেন চড়াও হলেন কিংবা ঘটনাটির পিছনে আসল রহস্য কি?
জানা যাচ্ছে, চন্দনেশ্বর এলাকায় তন্দ্রা দাস নামে এক মহিলার প্রায় সাড়ে 14 বিঘা জমি রয়েছে এবং সেখানে বাচ্চাদের একটি বিদ্যালয় রয়েছে বলেও জানা গেছে। আর সেই জমি নিয়েই বেঁধেছে বিপত্তি। শাহজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তিনি ওই জমি জবর দখল করার জন্য স্কুলটি ভাঙতে উপস্থিত হন এবং সেই সময়ে ওই মহিলা এবং তার মা শাহজাহানকে রুখতে গেলে উল্টে সেই দুই মহিলার ওপরই বিষাক্ত স্প্রে করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওয় তৃণমূল নেতাকে মহিলাটিকে গুলি করে খুনের হুমকি দিতে দেখা যায়। ভিডিওয় শাহজাহান মোল্লাকে বলতে শোনা যায়, “দ্বিতীয়বার যদি এখানে দেখি, তাহলে গুলি করে দেব।”
স্বভাবতই এরপর আতঙ্কিত সেই মহিলা স্থানীয় থানায় অভিযোগ করতে যান। কিন্তু পুলিশ তাদের সেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। এমনকি তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে থানার পক্ষ থেকে সেই মহিলাকে জানানো হয় যে, জমির দখল নেওয়া তো দূরের কথা, তারা সেখানে প্রবেশ পর্যন্ত করতে পারবে না। এই ঘটনাটি শিরোনামে আসতেই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক বিতর্ক এবং বিরোধীরা এরপর শাসক দলকে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে।
এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান, “রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের নেতারা এসব কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।” অপরদিকে বিজেপির এক নেতা বলেন, “আমাদের রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পুলিশের সামনেই একজন মহিলাকে গুলি করে খুন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ এসব দেখেও কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।” ঘটনাটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পর এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহজাহান মোল্লাকে ধরা হলে তিনি জানান, “এ সকল ভিডিও মিথ্যে। আমি এসবের কিছুই জানি না।”