বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোশ্যাল মিডিয়া হল বর্তমানে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষের ভিতরে লুকিয়ে থাকা শিল্পকলা এবং প্রতিভার ঝলক আমাদের সামনে উঠে আসে। এর ফলে তারা খুব সহজেই গোটা বিশ্বের সামনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং নিজেদের প্রতিভাকে সকলের সামনে তুলে ধরার সুযোগ পায়। এই সংক্রান্ত একাধিক ভিডিও আমাদের সামনে ভাইরাল হয়, যা দেখে কখনো আমাদের তাক লাগে তো কখনো আবার এই সকল শিল্পকলা আমাদের মুগ্ধ করে তোলে।
তেলেঙ্গানা থেকে ঠিক এমনই এক ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে একটি ছোট বাচ্চার ভিডিওর মাধ্যমে কিভাবে তার বাবার একটি ছোট্ট ব্যবসা বৃহত্তর হয়ে উঠেছে তারই প্রমাণ পাওয়া যায়। তেলেঙ্গানার অধিবাসী মোহাম্মদ ইলিয়াস একটি বিরিয়ানির দোকানের মালিক। সম্প্রতি, সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইলিয়াস জানান যে, “সারাদিন বহু পরিশ্রম করেও ব্যবসায় খুব একটা লাভ হয় না।” তিনি আরো বলেন, “এই ইফতারে আমি আশা করেছিলাম হয়তো গ্রাহক সংখ্যা সামান্য হলেও বেশি হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, ইফতারের মত উৎসবেও আমাদের দোকান খুব একটা চলেনা সেই কারণে আমি খুব চিন্তাগ্রস্ত হয়ে যাই।”
তবে বর্তমানে এমন কি হলো যে তার দোকানে গ্রাহক সংখ্যা এক ধাক্কায় বহুগুণ বেড়ে গেল! রহস্যের উন্মোচন করে তিনি বলেন, “ইফতারের পর আমি প্রচণ্ড হতাশায় পড়ে যাই। কিন্তু তখনই আমার ছেলে দোকানের ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য একটা ভিডিও রেকর্ড করে এবং সোশ্যাল মিডিয়া সেটিকে পোস্ট করে। হঠাৎই এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় এবং এরপর থেকেই আমাদের দোকানে গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সম্প্রতি, সানিয়া মির্জার বোনও আমাদের দোকানে উপস্থিত হন।” তিনি আরো বলেন যে, “আমরা খুব দ্রুত ডেলিভারি সিস্টেম চালু করতে চলেছি।”
Hyderabad, Telangana | I was distressed due to no sales on Iftar, but as soon as my son made a video to promote my shop, it went viral, & customers poured in. Sania Mirza's sister also showed up. We'll also start delivery services soon: Mohammad Iliyas, Haleem shop owner (18.04) pic.twitter.com/rtVb9TtYfJ
— ANI (@ANI) April 18, 2022
তবে দোকানের এই সাফল্যের পিছনে নায়ক অবশ্যই আদনান মোহাম্মদ নামের ছোট্ট এক বালক। বাবা ইলিয়াসের ব্যবসা বৃদ্ধি করার জন্যই সম্প্রতি ভিডিওটি পোস্ট করে সে। আদনানকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে, “অতীতে যেখানে আমাদের দোকানে দশটি খাবারের প্লেটও বিক্রি হতো না, সেখানে বর্তমানে প্রায় 150 প্লেট করে প্রতিদিন ব্যবসা হচ্ছে।”