‘কঠিন প্রতিরোধ হবে’, দেউচায় আদিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার দেউচা পাচামিতে দাঁড়িয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গলা তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার রাজারহাটে চলছে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। আজই দুপুরে সেখানে দেশ বিদেশের শিল্পপতিদের সামনে দেউচা পাচামিতে কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গ টেনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার ঠিক পরই একেবারে দেউচা পাচামিতে কার্যতই রণংদেহি রূপে দেখা গেল শুভেন্দুকে।

এদিন বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল যে দেউচা পাচামিতে যাবে তা ঠিক ছিল আগে থেকেই। দুপুর নাগাদ শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সেখানে পৌঁছান বিজেপির আরও ১০ জন বিধায়ক। তাঁরা পৌঁছানোর আগে থেকেই এলাকায় জমায়েত করে গেরুয়া শিবির। সেই জমায়েতকে নিয়ে মিছিল করে প্রস্তাবিত কয়লাখনি এলাকায় ঢোকেন শুভেন্দু।

আর সেই প্রস্তাবিত কয়লাখনির জমিতে দাঁড়িয়েই মমতার বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়লেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘জোর করে জমি নেওয়া যাবে না। এখানে কেউ চাইছে না কয়লাখনি হোক। সরকার যদি জোর করে জমি দখল করতে চায় তাহলে এখানে প্রতিরোধ হবে কঠিন প্রতিরোধ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানকার মানুষ অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে আন্দোলন করছে। তাঁরা যেভাবে আমাদের সাহায্য চাইবেন আমরা সেভাবেই সাহায্য করব।’ এদিন দেউচা পাচামির পাশাপাশি সিঙ্গুরেও প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেয় বিরোধী শিবির। সিঙ্গুরে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূলের লক্ষ্য অন্য। কয়লার স্তর পর্যন্ত পৌঁছানোর আগে যে বিপুল পরিমাণ পারহর মাটির নীচে রয়েছে সেটাই এখন তাদের লক্ষ্য।’

উল্লেখ্য, সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রামেই জমি আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই। তারপর সেখানে হস্তক্ষেপ করে তৃণমূল। এরপরের ইতিহাস সকলেরই কমবেশি জানা। বাংলায় তৃণমূলের উত্থানের কারণ হিসেবে ওই দুই আন্দোলনকেই দুটি পিলাত হিসেবে ধরা হয়। এবার রাজ্যে নিজেদের নড়বড়ে হতে থাকা খুঁটি শক্ত করতে সেই একই রাস্তায় হাঁটতে চাইছে বিজেপিও? এমনটাই অবশ্য দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের।

ad

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর