‘পার্টি অফিস ভেঙে ফেল’! কোন ‘টাকলুর’ দিকে ইঙ্গিত বিজেপি কর্মীর? ভাইরাল পোস্ট ঘিরে বিতর্ক

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ক্রমাগত সামনে আসছে বিজেপির অন্দরের কোন্দলের ছবি। ক্রমশই দূর্বল থেকে দূর্বলতর হচ্ছে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের সংগঠন। এবার আবারও সামনে এলো দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ এবং অসন্তোষের ঘটনা। দিন দুয়েক আগেই হুগলি জেলার সাংগঠনিক বিজেপির মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়। আর তারপর থেকেই তুঙ্গে ওঠে কর্মীদের অসন্তোষ। কর্মীদের অভিযোগ আদতে এলাকার দুষ্কৃতীদেরই সাংগঠনিক পদে বসিয়েছে বিজেপি।

এহেন অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় বিজেপির অন্দরমহলে। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসার পরই রাতারাতি ওই মণ্ডল সভাপতিদের তালিকা প্রত্যাহার করে নেন জেলা বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার। কিন্তু এরপর নতুন তালিকা প্রকাশ করলেও অভিযোগ, স্বজনপোষণ করছেন তুষার মজুমদার ও জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ।

এই ঘটনার রেশ পৌঁছায় স্যোশাল মিডিয়া পর্যন্তও। সেখানে কেউ কেউ লেখেন, কোনও নেতা বা নেত্রীর সুপারিশে দলের দায়িত্ব এবং পদ দেওয়া বন্ধ হোক। তবেই যোগ্য ব্যক্তিরা দায়িত্ব পাবে। এই ঝামেলা বন্ধ হবে।’ কারও কারও আবার দাবি, ‘দল তাহলে দেখছে টা কী? দলের কাজ না করে নেতা বা নেত্রীর পিছনে ঘুরলেই তো তাহলে কাজ হয়ে যাবে।’ যদিও এই সমস্ত অভিযোগ এবং দাবিদাওয়ার মাত্রা ছাড়িয়ে যায় অভিজিৎ দে নামের এক বিজেপি কর্মীর ফেসবুক পোস্টে। ‘পার্টি অফিস ভেঙে ফেল সবাই মিলে। ওই টাকলুটাই মেন ভিলেন।’

মুহুর্তেই ভাইরাল হয় এই পোস্ট। ঘটনার প্রেক্ষিতে ঝামেলা এড়াতে আগেভাগেই চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘ভোটের সময় অনেকে বিজেপিতে ঢুকেছে। তারাই এখন এসব করছে। দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। দলীয় কার্যালয় ভেঙে দেওয়ার প্রচার চলছ স্যোশাল মিডিয়ায়। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের কথা হয়েছে। আমরা চাই পুলিশ ব্যবস্থা নিক।’ যদিও ‘আবেগপ্রবণ’ হয়ে পোস্টটি করে ফেলেছিলেন বলেই জানিয়েছেন অভিজিৎ দে। বিষয়টি মিটিয়ে নেবেন বলেই জানিয়েছেন ওই বিজেপি কর্মী।

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর