বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও ‘ডিজিট্যাল বিদ্রোহ’ বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। বিগত কয়েক মাসে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন একাধিক নেতা। এবার সেই গ্রুপত্যাগী দলে নাম লেখালেন ভারতীয় জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। তবে কি গেরুয়া শিবিরের উলটো সুরে গাওয়ার পথে তিনি? এই বিষয়ে কোনও রকম প্রতিক্রিয়াই অবশ্য পাওয়া যায়নি বিধায়কের তরফে।
কিছুদিন ধরেই তুমুল শোরগোল চলছে বঙ্গ বিজেপি অন্দরমহলে। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যাচ্ছে একের পর এক তাবড় নেতাকে। দল ছেড়েওছেন বহু। পরিস্থিতি এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে সে এই মুহুর্তে বঙ্গ রাজনীতির আকাশের দমকা বাতাসেও ভেঙে চুরে যাবে বিজেপির সংগঠন। উনিশের লোকসভা ভোটে যে জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে যেন একেবারেই ঘুরে গিয়েছে খেলা।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে গোহারা হারার পর থেকেই ভাঙন ধরে গেরুয়া শিবিরে। ক্রমশ দূর্বল হতে থাকে সংগঠন। দলের অন্দরে শুরু হয় বিক্ষোভ এবং বিদ্রোহ। এরই মধ্যে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বকেও বদলে ফেলে আনা হয় একাধিক নতুন মুখ। দিলীপ ঘোষের বদলে গদিতে বসেন সুকান্ত মজুমদার। যার ফল হয় আরওই উলটো। যা আরও বাড়িয়ে তোলে অভিযোগ এবং ক্ষোভের আগুনকে। দল ছাড়েন জয়প্রকাশ মজুমদারের মতন দুঁদে বিজেপি নেতাও। রিতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসুদের কোনঠাসা হয়ে লাগাতার অভিযোগ, শান্তনু ঠাকুরের একধিক গোপন বৈঠক সব মিলিয়ে আরও ঘোরালো হয় পরিস্থিতি।
এই বিষয়য়ে অবশ্য মুখ খুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘অনেককে নিয়েই অনেক কিছু জল্পনা হয়। এতে বিজেপির কিছু যায় আসে না। বিজেপির ক্ষতি করার জন্য একটা পরিবেশ রাজ্যে তৈরি করা হচ্ছে। সব জায়গাতেই চলছে এটা। আমার মনে হয় দলের সিস্টেম যখন ঠিক হয়ে যাবে, সব পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আর কেউ বিজেপি ছেড়ে অন্য কোথাও যাবে বলে আমার তো মনে হয় না।’ এছাড়াও অশোক দিন্দার হোয়াটস্যাপ গ্রুপ ত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না এই সব গ্রুপে থাকেই বা কেন আর গ্রুপ ছাড়েই বা কেন। এসব গ্রুপে আমরা বিশ্বাসই করি না।’