বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুরনো দল ছেড়ে অনেক দিন আগেই বিজেপিতে যোগ দান করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikary)। দাপুটে বিরোধী দলনেতা তিনি। অথচ তাঁর সম্পর্কে বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের (Rupa Ganguly) দাবি, তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে ভাল ভাবে চেনেন না। বড় নেতা মনে হয়।
সোমবার রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে রূপার। দীর্ঘদিন ধরে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের তরফে রূপার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে দলের রাজ্য সভাপতি হিসাবে কে বেশি যোগ্য তাঁর মতে?
প্রাক্তন অভিনেত্রী বলেন, দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে তাঁকে বদলে দেওয়ার জন্য দাবি উঠেছিল খাস দলের অন্তরে। কিন্তু প্রতিবাদ করেছিলেন রূপা। কারণ তাঁর মতে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হলে কাজ করার জন্যও নূন্যতম সময়টুকু দেওয়া উচিত। তবে সুকান্ত মজুমদারও দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বলেই মত রূপার।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথা উঠতেই রূপা স্পষ্ট জানান, শুভেন্দুকে তিনি ভাল ভাবে চেনেন না। তবে খুব বড় নেতা মনে হয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়র বিজেপি ত্যাগ করা নিয়েও আফশোস করেন রূপা। তাঁর কথায়, বাবুল খুব তাড়াহুড়ো করে ফেলেছেন। তাঁর বিজেপি ছাড়ায় খুব কষ্ট হয়েছিল বলে জানান রূপা।
বাবুল সুপ্রিয় যখন তৃণমূলে যোগ দেন তখন বিষ্ফোরক প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমে এ ঘটনা বিশ্বাসই করে উঠতে পারেননি বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। পুরো বিষয়টাতেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছিলেন তিনি।
বাবুলের ঘাসফুলে যোগদানের ছবি সম্পর্কে রূপা বলেছিলেন, ‘এটা একটা ভুয়ো ছবি হতে পারে। বঙ্গ বিজেপির সদস্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতেই এটা করা হয়েছে।’ রূপার এই টুইটকে ঘিরে নেটদুনিয়ায় হাসি মশকরাও হয়েছিল।