বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার ৪৪ বিলিয়ন ডলারের( প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকা) বদলে ট্যুইটারকে কিনে নেওয়ার ঘোষণা করলেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক। সূত্র মারফত খবর এই চুক্তিটি এই বছরেই সাক্ষরিত হতে চলেছে। চুক্তিটি চুড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর ট্যুইটার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি বেসরকারি সংস্থায় পরিণত হবে।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই ইলন মাস্কের এই ‘অফার’কে’কে কেন্দ্র করে আলোচনা এবং জল্পনা চলছিল ট্যুইটার বোর্ডের অন্দরে। ট্যুইটারকে প্রকৃত বাকস্বাধীনতা দেওয়ার জন্য সংস্থাটির বেসরকারিকরণ প্রয়োজন, এই কথা ভেবেই স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটিকে কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইলন মাস্ক।
এখনও চুক্তিটি চূড়ান্ত না হলেও এই মুহুর্তে পরিস্থিতি যা তাতে ইলন মাস্ককে ট্যুইটারের মালিক বলাই যায়। ট্যুইটারের ‘মালিক’ হওয়ার পর একটি ট্যুইট করেই নিজের বক্তব্য জানান তিনি। সেই বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বাকস্বাধীনতা যে কোনও গণতন্ত্রেরই ভিত্তি প্রস্তর। ট্যুইটার হল সেই জায়গা যেখানে মানবতার ভবিষ্যতের জন্য একাধিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আমি ট্যুইটারকে সর্বকালের সেরা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এই বিষয়ে কাজ শুরু করার জন্য আমি উন্মুখ হয়ে রয়েছি।’
ইলন মাস্কের এই বিবৃতির পর মুখ খুলেছেন ট্যুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালও। তিনি লেখেন, ‘ট্যুইটারের একটি উদ্দ্যেশ্য এবং প্রাসঙ্গিকতা আছে যা সমগ্র বিশ্বকে প্রভাবিত করে। আমি আমাদের টিম গুলির জন্য গভীরভাবে গর্বিত এবং এমন কাজের দ্বারা অনুপ্রানিত যা এর আগে কখনও এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ট্যুইটার হস্তান্তরিত হলে পরাগ আগরওয়ালকে সিইও এর গদি ছাড়তে হবে বলেই মনে করছেন অনেকে। ট্যুইটারে অনেকেই দাবি তুলছেন কোম্পানির সহ প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসিকেই আবার কোম্পানির সিইও করা হোক। ইলন মাস্ক এবং জ্যাক ডরসি দীর্ঘদিন ধরেই সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছেন নিজেদের মধ্যে। তাই ডরসির ট্যুইটারে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনাকে যে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না এমনই মত পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের।