বাংলাহান্ট ডেস্ক : সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারপতিদের বৈঠকে যোগ দিতে গতকালই দিল্লিতে উড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজই সেই বৈঠকে দেখা মিলল এক নজিরবিহীন দৃশ্যের। কাছাকাছি আসতে দেখা গেল যোগী আদিত্যনাথ এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। দুজনের মধ্যে সৌজন্যের ঘটনাও কার্যতই নজিরবিহীন। দুই মেরুতে অবস্থান দুজনের। একে অপরের বিরুদ্ধে গলা চড়াতেই দেখা যায় তাঁদের। কিন্তু এদিন এক ফ্রেমে ধরা দিলেন জাতীয় রাজনীতির দুই অন্যতম বড় বিরোধী।
দিল্লিতে এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যোগী আদিত্যনাথের বসার ব্যবস্থাও ছিল পাশাপাশি। সেখানে হাসিমুখেই কথা বলতে দেখা গেল দুজনকে। কী কথা হল তাঁদের মধ্যে তা নিয়ে দুপক্ষের কেউই মুখ না খুললেও সভায় উপস্থিত অন্যান্যরা জানিয়েছেন কেবলমাত্র সৌজন্য বিনিময়ই হয়েছে তাঁদের মধ্যে।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদীও। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন মমতা। তবে এবারের সেই সাক্ষাৎ যে সেই অর্থে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় তা বলাই বাহুল্য। এদিনের এই বৈঠকে মমতা মোদী সাক্ষাৎ নিয়ে চুড়ান্ত জল্পনা থাকলেও আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে মমতা-যোগী সাক্ষাৎই। এই সাক্ষাৎ এতটাই চমকপ্রদ ছিল যে শুধু মাত্র চিত্র সাংবাদিকদের ক্যামেরাই নয় তাঁদের দিকেই কার্যত কৌতুহলি চোখে তাকিয়ে ছিলেন বৈঠকে উপস্থিত বাকি নেতা মন্ত্রীরাও।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে অহি নকুল বিবাদ সর্বজনবিদিত। তাই তাঁদেরকে সহাস্য সৌজন্য বিনিময় করতে দেখে যে অবাক হওয়াই স্বাভাবিক অন্যান্য মন্ত্রীদের তা বলাই বাহুল্য। জাতীয় রাজনীতির এই দুই মহারথির আশেপাশে দেখা গিয়েছে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকেও। একটা সময় মমতা – যোগীর মাঝখানে হাসিমুখে এসে দাঁড়াতে দেখা যায় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকেও। এই সমস্ত ছবিই সামনে আসার পরই যে মুহুর্তেই ভাইরাল হয়েছে স্যোশাল মিডিয়ায় তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।