বাংলাহান্ট ডেস্ক : মত্ত অবস্থায় পিস্তল নিয়ে এলাকায় দৌরাত্ম্য এবং দাদাগিরির অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এহেন ঘটনার জেরে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুরের ভালুকাবাজার এলাকায়।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকালে। হঠাৎ করেই মত্ত অবস্থায় একটি পিস্তল হাতে এলাকায় তাণ্ডব চালাতে শুরু করেন ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদ্য অপসারিত পঞ্চায়েত প্রধান মিনু মুশহরের স্বামী পূরণ মুশহর। সকাল থেকে এলাকার অনেককেই হুমকি দেন ওই তৃণমূল নেতা। একই সঙ্গে তেড়েও যান বেশ কয়েকজনের দিকে। ঘটনার খবর পেয়ে পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে একটি পিস্তল হাতে এলাকার এক আমবাগানে ঘুরছিলেন পূরণ। তখন যাঁরাই ওই এলাকায় যান তাঁদের সকলকেই তাড়া করেন তিনি। এমনকি কয়েক জনকে ধরে মাথায় বন্ধুক ঠেকিয়ে খুন করার হুমকিও দেন। এই খবর জানাজানি হতেই থানায় খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ভালুকা ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। থানায় এসেই কিছুক্ষনের মধ্যেই রীতিমতো নাক ডেকে ঘুমিয়ে পড়েন অভিযুক্ত নেতা। পিস্তলটি কোথা থেকে এল তাঁর কাছে সেকথা জিজ্ঞেস করা হলে পরে ভেবে চিনতে বলবেন বলে আবারও ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পিস্তলটি কোথা থেকে তাঁর কাছে এল তা জানার জন্যই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেই জানিয়েছেন হরিশচন্দ্রপুর পুরের আইসি সঞ্জয়কুমার দাস।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে যে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির তা বলাই বাহুল্য। এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সম্পাদক কিসান কেডিয়া বলেন, ‘এটাই এখন তৃণমূলের সংস্কৃতি। এমন অস্ত্র তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীর কাছেই আছে।’ অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির অবশ্য দাবি, ‘তৃণমূল কাউকে অস্ত্র নিয়ে দাদাগিরি করার লাইসেন্স দেয়নি। কেউ বেআইনি কিছু করলে আইন আইনের পথে চলবে।’ সব মিলিয়ে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার