বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় নাবালিকাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা ক্রমে বেড়েই চলেছে। একাধিক প্রান্ত থেকে যখন নাবালিকা ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠে আসছে, সেই মুহূর্তে এবার দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা থেকে এক নাবালিকাকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহব্যবসা করানোর অভিযোগ উঠল। মাত্র 14 বছর বয়সী নাবালিকাকে একপ্রকার জোর করেই দেহ ব্যবসায় নামানোর অভিযোগ উঠেছে অমর দাস নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বর্তমানে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাটির কেন্দ্রস্থল দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার কুলতলির সানকিজাহান কলোনি। অভিযুক্ত অমর দাস এই এলাকারই বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, কিশোরীটির বাড়ি পান্ডুয়ায়। কয়েকদিন পূর্বে পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার ফলে বাড়ি ছেড়ে কুলতলিতে পালিয়ে আসে সে। সেই সময় আচমকাই অমর দাসের সঙ্গে পরিচয় হয় কিশোরীটির আর পরবর্তীতে তার অসহায়তার সুযোগ নেয় অভিযুক্ত।
সূত্রের খবর, রাস্তায় কিশোরীটির সঙ্গে আলাপ হওয়ার পরেই অমরের মাথায় এক কৌশল খেলে যায়। এরপর নানা রকম ভাবে মেয়েটিকে বুঝিয়ে এবং লোভ দিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে সে। বর্তমানে মেয়েটি অভিযোগ করেছে যে, প্রথমে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও একদিন তাকে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামতে বলা হয়। এছাড়াও জানা যায়, মাত্র 500 টাকার জন্য তার ওপর এক প্রকার নির্যাতন চালায় অমর দাস নামের ব্যক্তিটি। ভাগ্যক্রমে, এলাকার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে পৌঁছে যায় খবরটি এবং তা জানা মাত্রই তারা সেই নাবালিকাকে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এখানেই থেমে না থেকে পরবর্তীতে কুলতলি থানার পুলিশের কাছে অমর দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, কিশোরীটির অভিযোগ পাওয়া মাত্র তারা তদন্ত শুরু করেছে। বর্তমানে মেয়েটিকে হোমে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক হলেও সে কড়া শাস্তি পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।