মরুভূমিতে অসুস্থ বৃদ্ধাকে পিঠে নিয়ে ৫ কিমি হাঁটলেন মহিলা পুলিশকর্মী, Viral Video দেখে কুর্নিশ সবার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের সমাজে সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা এবং যে কোনো সমস্যায় কার্যত রক্ষকের ভূমিকা পালন করে পুলিশ। আর যে কারণে চোখ বন্ধ করে তাঁদের ওপর ভরসা করেন সকলেই। যদিও, সাম্প্রতিক কালে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনায় পুলিশের সঠিক ভূমিকা নিয়ে জনগণ প্রশ্ন তুললেও সম্প্রতি এমন একটি দৃশ্য সামনে এসেছে যা কার্যত সেই সব অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে ফের প্রমাণ করেছে, মানুষের সাহায্যের জন্য সদা প্ৰস্তুত রয়েছেন পুলিশ কর্মীরা।

পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরালও হয়েছে নেটমাধ্যমে। যা দেখে এক মহিলা পুলিশ কর্মীর নজিরবিহীন উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলেই। মূলত, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, এক অসুস্থ বৃদ্ধাকে নিজের পিঠে চাপিয়েই মরুভূমির মধ্য দিয়ে ৫ কিলোমিটার হেঁটে অবলীলায় অতিক্রম করেছেন তিনি। আর এই ঘটনার ভিডিওটিই বর্তমানে ঝড় তুলেছে নেটমাধ্যমে।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, গুজরাটের কচ্ছে রামকথা শুনতে এসেছিলেন ৮৬ বছরের এক বৃদ্ধা। কিন্তু, রামকথা শুনে বাড়িতে ফেরার পথে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এমতাবস্থায়, সেখানে পুলিশ কর্মী হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন ২৭ বছরের তরুণী বর্ষা পারমার। ওই বৃদ্ধার অসুস্থতার খবর পেয়েই তিনি পৌঁছে যান সেখানে।

পাশাপাশি, সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন যে বালির উপরেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। তৎক্ষণাৎ তাঁর চোখেমুখে জল দিয়ে বর্ষা তাঁকে খানিক ধাতস্থ করেই ওই বৃদ্ধাকে কাঁধে তুলে মরুভুমির মধ্যে দিয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার হেঁটে তাঁকে পৌঁছে দেন নিরাপদ স্থানে।

এদিকে, এই ঘটনার ভিডিওই টুইট করে গুজরাট পুলিশ। যা পরবর্তীতে তুমুল ভাইরাল হয়ে যায়। লাফিয়ে লাফিয়ে দর্শকসংখ্যা এবং লাইক বাড়ছে ভিডিওটিতে। এছাড়াও, গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে টুইট করে বর্ষার প্রশংসা করেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে বিশেষ পুরস্কারের জন্যও মনোনীত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

যদিও, এই মহতী কাজ করার জন্যে এত আলোচিত হওয়ার পরেও বর্ষা রয়েছেন নির্বিকার। তিনি জানিয়েছেন, তিনি শুধু তাঁর কর্তব্য পালন করেছেন। কোনো কিছু পাওয়ার জন্য এই কাজ করেননি তিনি। এই প্রসঙ্গে ওই মহিলা পুলিশ কর্মী জানান, “আমি দেখলাম ওই বৃদ্ধা হাঁটার মতো অবস্থায় নেই। মরুভূমিতে যানবাহন পাওয়ারও সম্ভাবনাও ছিলনা। এমতাবস্থায়, এটুকু সাহায্য করা একজন পুলিশকর্মী হিসাবে আমার কর্তব্য ছিল। আমি শুধু সেটাই করেছি।” যদিও, বর্ষার এই অভিনব উদ্যোগ মন জয় করে নিয়েছে সকলের। পাশাপাশি, ভাইরাল ভিডিওটি দেখে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানান নেটিজেনরা।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর