বাংলাহান্ট ডেস্ক: ২ রা মে, কিংবদন্তির জন্মদিন। পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) জন্মদিন। এত বছর পরেও তিনি একই রকম প্রাসঙ্গিক। আজও কথায় কথায় বাঙালি প্রসঙ্গ টানে সত্যজিতের। আধুনিক ছবিতেও প্রবাদপ্রতিম পরিচালককে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয়। কিন্তু একজনের মতে, সত্যজিৎ রায়ই বাংলা ছবি তৈরির ক্ষেত্রে সবথেকে বড় ‘সমস্যা’। বক্তা পরিচালক কিউ (Director Q) ওরফে কৌশিক মুখার্জি।
সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে এমন সোজাসাপটা ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য অবশ্য তাঁর প্রথম নয়। এর আগেও এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। ‘অশালীন’ শব্দ পর্যন্ত ব্যবহার করেছেন। এতে যে সমালোচনার শিকার হতে হচ্ছে তাও বিলক্ষণ জানেন কিউ। কিন্তু সেসব নিন্দা বিশেষ গায়ে মাখেন না তিনি।
আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পরিচালকের দাবি, ‘টিপিক্যাল’ বাঙালির মতো তিনি আবেগ আঁকড়ে বেঁচে থাকেন না। এ জন্যই গালাগালি খেতে হয় তাঁকে। সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেও কিন্তু তাঁরই চরিত্রে আভিনয় করেছেন কিউ।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘অভিযান’ ছবিতে সত্যজিতের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। চরিত্রটি সম্পর্কে রীতিমতো পড়াশোনা করেই তারপর অভিনয়ে নেমেছেন তিনি। সত্যজিৎ রায়কে শুধু একটা চরিত্র হিসাবেই দেখেছিলেন তিনি। আবেগে ভেসে ভয় পেলে তো কাজটাই হবে না, বক্তব্য কিউয়ের।
১০১ তম জন্মবার্ষিকীতেও সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে যে মাতামাতি তা একেবারেই পছন্দ নয় তাঁর। জীবিতাবস্থায় কেউ সত্যজিতের ছবি দেখেনি। তাঁর মৃত্যুর পরে স্বীকৃতি পেয়েছে তাঁর কাজ। কিউয়ের মতে, বাংলা ছবি তৈরির ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যা সত্যজিৎ রায় এবং তাঁকে নিয়ে বাঙালির অনুভূতি।
যুক্তি দিয়ে কিউ বুঝিয়েছেন, জাপান, আমেরিকার মতো দেখে অনেক সত্যজিৎ রায়। নতুন নতুন পরিচালক উঠে আসেন সেখানে। কোনো একজনকে ঈশ্বরের স্থানে বসাননি তারা। বাঙালিরা সেই ভুলটাই করেছে বলে মত কিউয়ের। ব্যক্তিগত ভাবে অবশ্য তাঁর সত্যজিৎ রায়ের কোনো ছবিই পছন্দ নয়। তিনি ক্লাসিক ছবির ভক্ত নন। তাই সত্যজিতের সময়কার কোনো পরিচালকের ছবিই তাঁর ভাল লাগে না। সে যতই বড় নাম হোক না কেন, স্পষ্ট মন্তব্য কিউয়ের।