বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ 2 রা মে। আজকের দিনটিতেই বিধানসভা ভোটে বিপুল সংখ্যক আসন জয়লাভের মাধ্যমে তৃতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস আর সেই উপলক্ষ্যে এ দিন একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি প্রসঙ্গে নিজের মত প্রকাশ করলে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এই পোস্টে কুণাল ঘোষ সরকারের সাফল্যের দিকগুলি সহ দল বদল প্রসঙ্গ টেনে আনেন এবং দলের যুব শক্তিকেও উজ্জীবিত করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে কুণালের একটি মন্তব্য ভাইরাল হয়ে উঠেছে, যেখানে তিনি 2036 সালের পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে বসেন।
2036 সালে মুখ্যমন্ত্রী অভিষেক
কুণাল ঘোষ লেখেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের এক সৈনিক হিসেবে বলতে পারি, 2036 সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই 2036 সালে তিনি অভিভাবকের মত উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রিত্বে জ্যোতি বসুর রেকর্ড ভেঙে ভারতে নজির গড়বেন মমতাদি।”
তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি জয়
এছাড়াও তিনি এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি জয় প্রসঙ্গে বলেন, “মনে রাখুন, বিজেপির শীর্ষনেতাদের ডেইলি প্যাসেঞ্জারি, সব নখ দাঁত বার করা আক্রমণ, চার আনার বিজেপি কর্মীদের বারো আনা ঔদ্ধত্য, অসভ্যতাকে হারিয়ে জয়। দুই, সিপিএম, কংগ্রেসকে শূন্যে নামিয়ে দিয়ে জয়। তিন, মনে রাখুন, কিছু সুবিধেবাদীর হঠাৎ তৃণমূল ছাড়ার বিশ্বাসঘাতকতা ও হুজুগের বিরুদ্ধে জয়। চার, মনে রাখুন, দিদির নেতৃত্বে এবং অভিষেকের সেনাপতিত্বে তৃণমূল কর্মীদের জেদের আর আনুগত্যের লড়াইতে জয়। পাঁচ, মনে রাখুন, একদিকে সরকারের কাজ এবং সঙ্গে সাংগঠনিক এক দক্ষ পরিচালনপদ্ধতির মধ্যে দিয়ে জয়।”
এছাড়াও তিনি লেখেন, “এই বিপুল জয়কে, মানুষের আস্থা ও আমাদের মত সাধারণ সৈনিকদের মানসিক তৃপ্তিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। আত্মসমালোচনার জায়গায় গুরুত্ব দিতে হবে। দল বড়, সরকার বড়, আরও জয়, আরও দায়িত্ব, আরও কাজ, কর্মযজ্ঞ চলছে । 99% কাজ ভালো। 1% ভুল থাকলে ব্যবস্থা হচ্ছে এবং হবে। যে কর্মী, সমর্থক, সংগঠকরা 2021-এর চরম ঝুঁকির যুদ্ধে জান কবুল লড়াই দিয়েছেন, তাঁদের সম্মান, মর্যাদা, অধিকারবোধ সত্যিই স্বতন্ত্র। দলে রাজনৈতিক সচেতনতাটাকেই অগ্রাধিকার দিন। দেওয়া হয়। ক্ষমতায় থাকার জন্য মুষ্টিমেয়র মধ্যে যদি ব্যক্তিসমীকরণের প্রশাসনিক লাভক্ষতির হিসেব অগ্রাধিকার পায়, তবে তা বর্জ্যনীয়। আর সতর্ক থাকুন, চারপাশে কারা আসছে, তারা কারা, কী চায়। এই সতর্কতার ছাঁকনি যে কোনও ক্ষমতাসীন দলে জরুরি, তৃণমূলেও জরুরি এবং তৃণমূল নজর রাখছে বলেই বারবার তিনবার মানুষ আশীর্বাদ করছেন।”
দলীয় কর্মীদের শুভেচ্ছা
ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে কুণাল লেখেন, “মমতাদির লড়াইকে কুর্নিশ। অভিষেককে অনেক শুভেচ্ছা। তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের আসল সম্পদ বুথের কর্মীরা, মিছিলের কর্মীরা, দেওয়াল লেখার কর্মীরা, যাঁরা কোনো প্রার্থী না হয়েও, পদ না পেয়েও দলের সব কাজ করেন, তাঁদের শতসহস্র প্রণাম ও শুভেচ্ছা।”