তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিলেই মিলবে ১ বছরের ছুটি এবং ১১ লক্ষ টাকা বোনাস! বাম্পার অফার চীনে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সমগ্ৰ বিশ্বজুড়ে যখন লাফিয়ে লাফিয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় রীতিমত সঙ্কট দেখা গিয়েছে ঠিক সেই আবহেই এবার অবাক করা এক প্রস্তাব দিচ্ছে একাধিক চিনা কোম্পানি। আর যা শুনে রীতিমত স্তম্ভিত সকলেই। জানা গিয়েছে, নতুন এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যে সমস্ত কর্মচারী তৃতীয় সন্তানের জন্ম দেবেন, তাঁরা এক বছর পর্যন্ত ছুটি পাবেন।

তবে, এখানেই শেষ নয়। বরং আরও বড় চমকের ঘোষণাও করা হয়েছে এর সাথে। জানানো হয়েছে, তৃতীয় সন্তানের জন্মের পর বিরাট অঙ্কের বোনাসও পাবেন কর্মচারীরা। ভারতীয় মুদ্রায় যেটির পরিমান প্রায় ১১.৫০ লক্ষ টাকা। এই প্রসঙ্গে, সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই বেইজিংয়ের ডাবেইনং টেকনোলজি গ্রুপ তাদের কর্মীদের জন্য এই প্রকল্পটি শুরু করেছে।

   

এর ফলে, তৃতীয় সন্তানের জন্মের ক্ষেত্রে বোনাস এবং ছুটি উভয়েরই সুবিধা পাবেন কর্মীরা। মূলত, কোম্পানি থেকে মহিলা কর্মচারীদের ১ বছর এবং পুরুষ কর্মচারীদের ৯ মাসের ছুটি দেওয়া হবে। এছাড়াও, যদি কোনো কর্মচারীর দু’টি সন্তান থাকে, সেক্ষেত্রেও তিনি ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭ লক্ষ টাকার বোনাস পাবেন। এছাড়াও, প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে বোনাসের পরিমান থাকবে ৩.৫০ লক্ষ টাকা।

কেন দেওয়া হচ্ছে এই অফার?
এই প্রসঙ্গে, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, ৩ টি সন্তান সংক্রান্ত সরকারের নীতির সমর্থনে একাধিক সংস্থা এই পরিকল্পনা শুরু করতে চাইছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চিনে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৮০ সালে “ওয়ান চাইল্ড পলিসি” কার্যকর করা হয়েছিল। কিন্তু প্রায় ৪০-৪৫ বছর পর্যন্ত এই নীতি কার্যকর হওয়ার পর দেশে প্রবীণদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এছাড়াও, একাধিক সমস্যাও দেখা দিতে শুরু করে। এমতাবস্থায়, ২০১৬ সালে এই নীতি বাতিল করে সরকার।

download 39 1

যদিও, বর্তমানে সরকার কর্তৃক নতুন নীতি বাস্তবায়নের পরেও, চিনের যুব জনসংখ্যার মধ্যে বেশি সংখ্যায় সন্তান গ্রহণের দিকে বিশেষ প্রবণতা দেখা যায়নি। যেই কারণে তাদের উৎসাহ দিতে এখন কর্পোরেট বিশ্ব এগিয়ে এসেছে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই একাধিক কোম্পানি ২০২১ সাল থেকেই “তিন সন্তান নীতি”র সমর্থনে তাঁদের কর্মীদের উৎসাহিত করা শুরু করেছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর