বাংলাহান্ট ডেস্ক: মিঠাই, গাঁটছড়া সবই এখন অতীত। বাংলার দর্শক মজে ‘ধুলোকণা’য় (Dhulokona)। লালন ফুলঝুড়ির জুটি নতুন করে নজর টানছে দর্শকদের। অনেকদিন হল স্টার জলসায় শুরু হয়েছে সিরিয়ালটি (Bengali Serial)। সেরা দশের টিআরপি তালিকায় থাকলেও কোনোদিনই বাংলা সেরা হতে পারেনি ধুলোকণা।
আর হতে যে পারবে কোনোদিন সেটাও ভাবতে পারেনি কেউ। কিন্তু অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে লালন ফুলঝুড়ি। মানালি মনীষা দে ও ইন্দ্রাশিষ রায় (Indrasish Roy) দুজনেই বেশ পুরনো এবং অভিজ্ঞ অভিনেতা অভিনেত্রী। একটু সময় লাগলেও তাঁরাই এখন চ্যানেল টপার।
আর এর ফলে দ্রুত জনপ্রিয়তার সিঁড়ি ভাঙছেন ইন্দ্রাশিষ। উচ্ছেবাবু, উকিলবাবুকে ভুলে অনেক মেয়েদেরই ক্রাশ হয়ে উঠেছেন লালন ওরফে ইন্দ্রাশিষ। তবে মহিলা মহলের জন্য একটা খারাপ খবর রয়েছে। আর পাঁচটা সিরিয়ালের মতো, ধুলোকণার নায়ক কিন্তু আর সিঙ্গল নন। তিনি ইতিমধ্যেই আইবুড়ো নাম ঘুচিয়ে ফেলেছেন।
গত বছর জানুয়ারি মাসে সবাইকে চমকে দিয়ে চুপিচুপি বিয়ে করে নেন ইন্দ্রাশিষ। স্ত্রী সৌরভী তরফদার পেশায় একজন রেডিও জকি। দীর্ঘ দশ বছর ধরে চুটিয়ে প্রেম করার পর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দুজনে। মিষ্টি মুখের সৌরভী অনায়াসে টেক্কা দিতে পারেন ইন্ডাস্ট্রির নামীদামী অভিনেত্রীদের। তবে অনস্ক্রিনে না হলেও অফস্ক্রিনে তো তিনিই ইন্দ্রাশিষের নায়িকা, তাও আবার চিরদিনের জন্য।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় সৌরভী। নিজের টুকটাক ছবি তো শেয়ার করেনই। সেই সঙ্গে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং স্বামী ইন্দ্রাশিষের ছবিও জায়গা করে নেয় তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে। ইন্দ্রাশিষ সৌরভীর যুগল ছবি দেখতে বেশ পছন্দ করেন নেটিজেনরা।
ধুলোকণার প্রসঙ্গে ফিরলে, অনস্ক্রিনের গল্পটা কিন্তু অন্যরকম। লালন ফুলঝুড়ি একে অপরকে ভালবেসে বিয়ে করতে চাইলেও তাদের মাঝে চলে এসেছে চড়ুই। ফুলঝুড়ির সঙ্গে লালনের বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও মাঝখান থেকে চড়ুই লালনের বৌ হয়ে বসে রয়েছে। শেষমেশ সব বাধা পেরিয়ে ফুলঝুড়ি লালন কি এক হতে পারবে? আগামী পর্বগুলোতেই পাওয়া যাবে উত্তর।