বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অর্থনৈতিক সংকট মাঝে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে পড়েছিলো। সাধারণ জনতার একের পর এক আন্দোলনের কারণে ক্রমশই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিলো সরকারের। আর এবার শেষপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। বহুদিন ধরেই চলছিল জল্পনা, তবে সেসবকে এতদিন পাত্তা দেননি রাজাপক্ষে। তবে এদিন জনগণের বিক্ষোভ মাঝে শেষপর্যন্ত মাথা ঝোঁকাতে বাধ্য হলেন তিনি।
বেশ কয়েক মাস ধরেই শ্রীলঙ্কা দেশটি অর্থনৈতিক সংকটে ডুবে রয়েছে। তেল, রান্নার গ্যাস সহ একাধিক প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু-হু করে বেড়ে চলছিলো দেশে। ফলে খাদ্য ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়ে দেশের জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামতে থাকে। সম্প্রতি, দেশে গোটা মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে কোনোমতেই ইস্তফা দিতে চাননি মাহিন্দা রাজাপক্ষে। উল্টে সাধারণ মানুষের আন্দোলনকে শান্ত করতে পুলিশ ও সেনাকে সর্বোচ্চ ক্ষমতাও প্রদান করেন তিনি।
সম্প্রতি, গোটা শ্রীলঙ্কা জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এপ্রিল মাসের পর পুনরায় মে মাসের দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা। বলে রাখা ভালো, কিছুদিন পূর্বেই বেশ কয়েকজন পড়ুয়া মিলে সংসদের বাইরে আন্দোলন দেখানো শুরু করে। সেই আন্দোলনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে শেষ পর্যন্ত সেখানে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামানের ব্যবহার পর্যন্ত করতে হয়। তবে তাতেও দমানো যায়নি তাদের। আর এইসব কারণেই প্রধানমন্ত্রী নিজের পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে প্রথম এই খবরটি প্রকাশ করা হয়। জানা গিয়েছে, এদিন শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা পার্টির নেতৃত্বর সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়, সেখানেই মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর তাঁর কাছে আর কোনোরকম পথ খোলা থাকেনা এবং সেই কারণেই এদিন মাহিন্দা রাজাপক্ষে পদ ছাড়লেন বলে দাবি শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের।